এগারো দফা দাবি নিয়ে কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে এক সপ্তাহ পরে অন্যান্য জেলার মত রংপুরেও দায়িত্বে ফিরেছে ট্রাফিক পুলিশ। এতে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। বিজয়ের আনন্দ নিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছে পুলিশ সদস্যদের।
সোমবার (১২ আগস্ট) সব ধরনের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে সকাল থেকে আগের নিয়মেই শহরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছেন ট্রাফিক পুলিশ। কাজ শুরু করায় জানমালের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় হাসি ফুটেছে সকলের। পুলিশের কাজে সহযোগিতা করছেন বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
দায়িত্বপালনরত শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ যেহেতু সপ্তাহখানেক পরে আজ কাজ শুরু করেছে, যেন তাদের ওপর শিক্ষার্থীদের বা অন্য কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে, তাই আমরাও সহযোগিতা করছি৷ তবে আগামীকাল থেকে আমাদের মাঠে থাকার কথা নয়।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তারা এগারো দফা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিরলসভাবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারা। সাধারণ শিক্ষার্থী হলেও নিজ দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি ও জানমালের অনিরাপত্তার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি।
জনস্বার্থে তাদের মহৎ উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যক্তি, এনজিও, মানবিক সংস্থাগুলো তাদের খাদ্য ও পানীয় দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
ব্যবসায়ী ও পরিবহন চালকেরা বলেন, আজকে পুরোদমে স্বস্তি ফিরলো মনে। জানমালের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা, ঝুঁকি নিয়ে চিন্তামুক্ত হলাম। তবে নতুন প্রজন্মের এই তরুণদের স্যালুট। তারা বিনা স্বার্থে ঘাম ঝড়িয়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছে, যা ইতিহাসের রেকর্ড। এ ধরনের নজীর স্বচক্ষে দেখতে পেরেও ধন্য আমাদের সন্তানদের হাতে পুরো দেশ। যদিও এই দায়িত্ব তাদের জন্য খুব ঝুঁকি ছিল। তারা চেষ্টা করেছে মাঠে নেমেছে এটি অনেক।
শহরের প্রতিটি পয়েন্টে আগের মতোই পুরোদমে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে পুলিশ সদস্যরা। মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে যাবে বলে জানান তারা।