গাইবান্ধায় ইউপি সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2024-10-04 15:15:21

গাইবান্ধায় সড়কের পাশের খাদ থেকে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে, এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে সদর সদর উপজেলার গাইবান্ধা-দাড়িয়াপুর সড়কের কইমারা ব্রিজের অদূরে একটি ইটভাটা সংলগ্ন সড়কের পাশের খাদের থেকে স্থানীয়দের খবরে মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা।

৪৮ বছর বয়সী ওই ইউপি সদস্যের নাম মোস্তাক আলী। তিনি সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি উত্তর আনালের তাড়ি গ্রামের মৃত সেরাজুল ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা।

এসময় নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে দাড়িয়াপুর বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন মোস্তাক আলী। এরপর গভীর রাত পেরিয়ে গেলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদির (আজ শুক্রবার) সকালে কইমারা ব্রিজের অদূরে একটি ইটভাটা সংলগ্ন খালের পাশে মোটরসাইকেলসহ তার মরদেহ পড়ে থাকার খবর পায় তার পরিবার। পরে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে এবং স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

অপরদিকে, স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, নিহত মোস্তাক আলী বাড়ি ফেরার সময় তার মোটরসাইকেলে জুয়েল মিয়া ও সোহেল রানা নামের আরও দুইজন ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে জুয়েল মিয়াকেও গুরুতর আহত অবস্থায় একই স্থান থেকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সোহেল রানা সম্পূর্ণ সুস্থ্য রয়েছেন।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম হক্কানী বলেন, মোস্তাক আলীর মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। স্থানীয়দের কেউ বলছে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে, আবার কারো কারো ধারণা শত্রুতার জেরে কেউ তাকে হত্যা করে থাকতে পারে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয়দের খবরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসাপতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, মরদেহের শরীরে, পায়ে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই মুহূর্তে ঘটনাটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এসময় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর