ভোলায় ১০৬ মণ্ডপে পালিত হবে দুর্গা উৎসব

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলায় ১০৬ মণ্ডপে পালিত হবে দুর্গা উৎসব

ভোলায় ১০৬ মণ্ডপে পালিত হবে দুর্গা উৎসব

জেলার ৭ উপজেলায় এ বছর ১০৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাউৎসব পালিত হবে। তাই শেষ সময়ে মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। একই সঙ্গে ডেকোরেটর, লাইটিংসহ চলছে  সাজ সজ্জার কাজ। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে প্রত্যেকটি মণ্ডপ। ইতোমধ্যে মণ্ডপগুলোতে সরকারি ভাবে বিতরণ করা হচ্ছে ৫০০ কেজি করে চাল।

এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মণ্ডপগুলোর সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি মণ্ডপ নিয়ে আসা হয়েছে পুলিশের নজরদারির মধ্যে। জোরদার করা হয়েছে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম।

বিজ্ঞাপন

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার সাহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ বছর জেলায় ১০৬টি মণ্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৭টি, বোরহানউদ্দিনের ২০টি, দৌলতখানে ৮টি, লালমোহন ১৬টি, তজুমদ্দিনের ১৫টি, চরফ্যাশনে ৯টি  ও মনপুরায় ১১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমাদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় পূজা উদযাপনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি মণ্ডপে একাধিক সিসি ক্যামেরা থাকবে। এছাড়া নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রত্যেক মণ্ডপে ১০ জন করে সেচ্ছাসেবক কাজ করবে। বর্তমানে মণ্ডপগুলোতে প্রতিমায় রং তুলির আঁচর, প্যান্ডেলের কাজ, ডেকোরেটর, লাইটিংসহ অন্যান্য সাজসজ্জার কাজ চলছে।

সরেজমিনে শহরের ১ নং ওয়ার্ড এলাকার বাপ্তা শ্রী শ্রী শক্তি সংঘ দূর্গা মাতার মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় আয়োজকদের ব্যস্ততা। প্রতিমায় রং তুলির কাজ শেষ হয়েছে। অন্যান্য কাজে ব্যস্ত সবাই। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেনু পাল বলেন, এখানে প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন মণ্ডপে অন্যান্য সাজসজ্জার কাজ চলছে। নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। মণ্ডপে পুলিশের টহল ডিউটি অব্যাহত রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শরীফুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইতোমধ্যে মণ্ডপগুলোতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনে থাকছে জেলা পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স, মোবাইল ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স ও গোয়েন্দা তৎপরতাসহ চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলোর জন্য চারজন পুলিশ ও ৮ জন আনসার সদস্য থাকবেন। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপের জন্য তিনজন পুলিশ, ৬ জন আনসার এবং সাধারণ মণ্ডপগুলোর জন্য দুইজন পুলিশ ও ৬ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। আমরা চাই উৎসব ও আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হোক। এ লক্ষ্যে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে জেলা পুলিশ।