বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আ.লীগ নেতা হত্যা, ছাত্রজনতার নামে মামলা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2024-10-19 21:00:21

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র জনতার সংঘর্ষে নিহত রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন রায় হারা হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী কনিকা রানী বাদী হয়ে ছাত্র জনতার নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়ক ইমরান হোসেন একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ফেসবুক পোস্টে ইমরান আহমেদ জানান, যে পুলিশ সাধারণ মানুষের মামলা নেয়না। সেই পুলিশ অস্ত্র হাতে হত্যাকারী হারাধনের মামলা নেয় কিভাবে? এটাতো দুঃসাহস! পুলিশের রিফর্ম জরুরী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী চলমান নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টার সময় হারাধন রায় হারা নগরীর ৪ নং ওয়ার্ড জলছত্র চৌধুরীপাড়া এলাকার মোকছেদ আলীর পুত্র মৃত ফাত্তা সবুজসহ আওয়ামী লীগের মিছিলে যোগদান করে। সেসময় অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ বিক্ষুব্ধ জনতা হারাধন রায় হারা ও ফাত্তাহ সবুজকে নগরীর বেতপট্টি চারমাথা মোড়ে পেয়ে লাঠি, সোঠা, লোহার রড, চাকু, দেশীয় অস্ত্র দ্বারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে ও কুপিয়ে কাটা জখম করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।একই তারিখ বিকাল আনুমানিক ৩.৩০ টার সময় অজ্ঞাতনামা বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের মৃতদেহের গলায় ডিসের তার পেচিয়ে ছেচরিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে ওভার ব্রীজের নিচে নিয়ে এসে পাকা রাস্তার উপর ফেলে রাখে। পরবর্তীতে রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে হারাধন রায় হারা ও ফাত্তাহ সবুজের লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে হারাধন রায় হারা হত্যার ঘটনায় ছাত্রজনতার নামে মামলার ঘটনায় সমন্বয়ক মাসুদ রানা জানান, সরকারতো ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের কোন ঘটনার জন্য ছাত্র জনতার নামে মামলা হবে না। তারপরও ছাত্রজনতার মিছিলে প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে নিয়ে গুলি করা চিহ্নিত সন্ত্রাসী হারা নিহতের ঘটনায় কেনো এই মামলা দায়ের করা হলো? পুলিশ এতো সাহস কিভাবে পেলো? আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এবিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, হারাধন রায় হত্যার ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে কোতয়ালী থানায়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদ্বয়কে আসামি করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর