বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'দানা' বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালী অঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে এবং উপকূলের আকাশ মেঘলা রয়েছে। স্থানীয়রা, বিশেষ করে কলাপাড়া ও কুয়াকাটা এলাকার বাসিন্দারা অতীতে হওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলোর স্মৃতি মনে করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিগত বছরের ঘূর্ণিঝড়গুলো আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। আবারও এমন ঘটনার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি, কিন্তু আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’
কলাপাড়ার বাসিন্দা বেলায়েত মোল্লা বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আল্লাহ জানে, গতবারের মতো ক্ষতি হয় কিনা।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজন হলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আসলেই প্রতিবারের মতো এবারও উপকূলের স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে, যা সাধারণ মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। উপকূলের বাসিন্দা সেতারা বেগম বলেছেন, ‘পণ্যের দাম বাড়ছে, যা আমাদের জন্য চিন্তার বিষয়। আমরা পরিস্থিতির উন্নতি চাই।’
স্থানীয় প্রশাসন মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। তারা আশাবাদী যে, সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।
সকলকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, কারণ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।