জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজবাড়ী সদরের খানখানাপুর নতুন বাজার গ্রামের শহীদ আব্দুল গণি ও বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রামের শহীদ সাগর আহমেদ এর শোকাহত পরিবারের খোঁজ নিতে ছুঁটে যান রাজবাড়ীর নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। জেলার সর্বোচ্চ এই সরকারি কর্মকর্তাকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান শহীদ দুই পরিবারের স্বজনরা।
জানা যায়, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক হিসাবে যোগদানের মাত্র দুই দিনের মাথায় তিনি মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আব্দুল গণির বাড়িতে গিয়ে শহীদের সহধর্মিণী লাকী আক্তার, শিশু সন্তান জান্নাত আক্তারের সাথে দেখা করেন। এ সময় শোকার্ত পরিবারের সাথে কথা বলে সবার খোঁজ নেন এবং তাদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ছুঁটে গিয়েছিলেন বালিয়াকান্দির শহীদ সাগর আহমদের বাড়ীতে। এ সময় জেলা প্রশাসক শহীদ সাগরের কবর জিয়ারত করেন এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলেন। পরে জেলা প্রশাসক নগদ ২০ হাজার টাকা এবং সাগরের মা-বাবা ও বোনের জন্য উপহার সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেন।
এ সময় বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ হাসিবুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বারি, সহকারী কমিশনার অংকন পাল ও বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে সাগরের পরিবার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ডিসি মহোদয় আজ এসেছিলেন আমাদের বাড়ীতে। উনি আমাদের যে কোন দরকারে উনাকে জানাতে বলেছেন এবং পাশে থাকার ওয়াদা করেছেন। আমরা সাগরের কবরস্থানের চারদিকে বাউন্ডারী ওয়াল করার দাবী জানিয়েছি ডিসি স্যারের কাছে। তিনি বিষয়টি দ্রুত বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) নতুন অফিসে চরম ব্যস্ততার মাঝেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত পাংশা উপজেলার ধুলিয়াট গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের পুত্র শিক্ষার্থী রাজীব খান এবং জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার নলডুপি গ্রামের আব্দুল হক শেখের ছেলে গার্মেন্টস শ্রমিক আমির হামজাকে নিজের অফিসে ডেকে আনেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম। তাঁদের অসুস্থতার খবর নেন। তাঁদের দুর্ভোগের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন। জেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দেন তিনি।