ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় একটি গুদাম থেকে ৩১৫ বস্তা বিনা মূল্যের প্রণোদনার সার জব্দ করা হয়েছে। ওই দোকানের মালিক মাজহারুল আহসানের মেসার্স আর এম ট্রেডার্স নামে একটি সারের দোকান রয়েছে এবং তিনি বিএডিসির সার ডিলার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রণোদনার দুই ট্রাক সার বিএডিসি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে। দুই ট্রাকে এমওপি ও ডিএপি ৬৩০ বস্তা সার ছিল। ৩ নভেম্বর এসব সার সরকারি গুদামে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ৩১৫ বস্তার এক ট্রাক সার যায় বিএনপি নেতা মাজহারুল আহসানের গুদামে। স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়ে গতকাল বুধবার বিকালে ধোবাউড়া মধ্যবাজারে মেসার্স আর এম ট্রেডার্স নামে তাঁর একটি সারের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩১৫ বস্তা সার জব্দ করে ও গুদাম সিলগালা করে দেন।
এবিষয়ে গুদাম মালিক মাজহারুল আহসান বলেন, গত ৩১ অক্টোবর আমি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম। গত ৩ নভেম্বর সরকারী প্রণোদনার ৬৩০ বস্তা সার আসে। এসময় আমার গুদামে সার কম ছিল। যে কারণে কৃষি কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে জানায়, সার আসছে। পরে আমি তাকে বলি আমাকে এক ট্রাক সার দিয়ে দেন। আমি কক্সবাজার থেকে ফিরে আমার সার এনে আপনাকে দিয়ে দেব। এমন কথার পর আমার গুদামে ৩১৫ বস্তা সার রাখা হয়। আমার সার আগামীকাল বা তার পরদিন আসবে। সার আসলে ফেরত দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক কয়েকটি গ্রুপ আছে। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, সরকারি সার বাইরের গুদামে ছিল। ওই গুদামে কি ভাবে সার গেল, তার সদুত্তর দিতে না পারায় গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকেও জানানো হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক নাছরিন আক্তার বানু বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমরা খোঁজখবর নিতে শুরু করেছি। যে গুদামে সার রাখা হয়েছিল, সেটিও বিএডিসির। ওই গুদাম মালিকের এক ট্রাক সার আসার কথা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকের উল্টাপাল্টা হয়েছে। তারপরেও বিষয়টি আমাদের জানাতে গুদাম কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।