ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বগ্রহণ করা সহ ২২ দফা প্রস্তাবনা নিয়ে ৫টি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন নিয়ে বিপ্লবী গনজোট নামে আত্মপ্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদে এক সংবাদ ডেকে জোটটি আত্মপ্রকাশ করে। জোটে অন্তর্ভুক্ত দলগুলোর মধ্যে আছে- বাংলাদেশ গ্রীণ পার্টি, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি,বিপ্লবী গরীব পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, পীস ফোরাম ও প্রয়াত নেতা স্মৃতি সংসদ।
বিপ্লবী গণজোটের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জোট সমন্বয়ক আব্দুল মোনেম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরাসরি ভোটে নির্বাচিত না হলেও ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনের ম্যান্ডেটের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র এবং জনগণকে সীমাহীন সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। তাই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো এই সরকারের হাত দিয়েই হতে হবে।
সরকারের আশু করণীয় ও সংবিধান সংস্কার সহ দাবিগুলোর মধ্যে আরও আছে- নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংস্কার, নির্বাচিনী আইন সংস্কার,বিচার বিভাগের সংস্কার, পররাষ্ট্রনীতির সংস্কার, প্রতীরক্ষানীতির সংস্কার, পরিবেশ, কৃষি, মজুরি কাঠামো নির্ধারন ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, শিক্ষার সংস্কার, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংস্কার, দুর্নীতি প্রতিরোধ করা।
এছাড়াও স্থানীয় কাঁচামালে উপর ভিত্তি করে শিল্পের বিকাশ, খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ,পরিবহন খাতের নৈরাজ্য বন্ধ, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষন, ২৪ গণ আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও ক্ষতিপূরণ, সকল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, বিদেশী সংস্কৃতি আগ্রাসন থেকে নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষা সহ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ২ মেয়াদের বেশি না হবার মতো সংস্কার প্রস্তাবনা করেন।
জোট আত্মপ্রকাশ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গ্রীণ পার্টি, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি,বিপ্লবী গরীব পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, পীস ফোরাম ও প্রয়াত নেতা স্মৃতি সংসদ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।