নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে আদালতে বিভিন্ন মামলা রুজু হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তারা আত্মগোপনে আছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা, বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। এর ফলশ্রুতিতে ১১ ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তিনি এ আদেশ জারি করেন।
এতে কেন্দুয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত না থাকায় বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত ও নাগরিক সেবা বঞ্চিত হচ্ছে বলে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বাকি দুটি ইউনিয়ন নওপাড়া ও গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ স্ব-পদে বহাল আছেন।
প্রজ্ঞাপনে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের স্থলে উপজেলার কর্মকর্তাগণকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করেছেন জেলা প্রশাসক।
উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান, আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ইউনুস রহমান, মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে সমবায় কর্মকর্তা কামরুজ্জামান চৌধুরী, কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রহিমা আক্তার, গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে উপজেলা ইন্সট্রাক্টর কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ভূইয়া, মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আল-আমিন সরকার, চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা মোহাম্মাদ, দলপা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম, পাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুল রহমান।