কুষ্টিয়ায় বাবুল আক্তার আনিস (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ধারালো অস্ত্রের কোপে তার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর ঢাকা ঝালুপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্যক্তির নাম বাবুল আক্তার আনিস। তিনি শহরতলীর ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকার আসালত ফকিরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল ইসলাম বলেন, তারা কয়েকজন মিলে এলাকায় ‘সবুজ শান্তি’ নামের একটি সমিতি করেছিলেন। সমিতির তহবিলে ৭১ হাজার টাকা জমা ছিল, এ নিয়ে কথা হচ্ছিল। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে নজরুল ক্ষুব্ধ হয়ে বাবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকায় সমিতির টাকা লেনদেন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলামের সঙ্গে বাবুল আক্তারের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামের একটি চায়ের দোকানে দুই পক্ষ বসে আলোচনা করছিল। আলোচনার একপর্যায়ে নজরুলের সঙ্গে বাবুলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবুলকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। বাবুল বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের কবজি কেটে মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এর মধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন নজরুল ও তার লোকজন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হামিদুল ইসলাম বলেন, কব্জি কাটা অবস্থায় বাবুল হাসপাতালে আসেন। কাটা অংশ তার সঙ্গে ছিল না। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পিঠেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। সব মিলিয়ে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। তার বড় অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অবস্ ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ঘটনার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।