অতি জরুরী সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সাধন করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যার যার জায়গায় চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান। নির্বাচনে মানুষের আমানতকে শ্বশুর বাড়িরর নিয়ামত মনে না করার আহ্বানও জানিয়ছেন তিনি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে নাটোর জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা আমানতের খেয়ানত করেছে। কম-বেশি সবাই এজাতিকে কষ্ট দিয়ে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে গত পনেরো বছর। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর দিয়ে শুরু করে একটার পর একটা হত্যা কাণ্ড চলিয়েছে তারা। সবশেষ ২০২৫ সালে নিজের দেশের মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে।
শফিকুর রহমান বলেন, এতো মানুষ জিবন দিয়েছে কেনো, তারা চেয়েছে বিষম্যহীন সমাজ। তারা বলেছে, আমরা চাঁদাবাজি বিরুদ্ধে , সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। দশ মাসের সন্তান থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধরা জুলাই আন্দোলনে নেমেছিল। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা বাংলাদেশে অকাম-কুমাম করেছে, তারাই মানুষকে চোর বলতো। যারা মানুষের সম্পদ, ইজ্জতের ওপর হাত দিচ্ছে না তাদের মানুষ গ্রহণ করবে। পট পরিবর্তনের পর নেতাকর্মীদের বলেছি, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, সবাই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। আন্দোলনে হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবকের হাতকে দেশ গড়ার হাতে পরিণত করবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারো হাতে যাওয়ার জন্য নয়। কারো লাল চোখ আমরা দেখতে চাই না। জামায়াত ইসলাম বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ করতে চায়। আমরা বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। এদেশের হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই গর্বিত নাগরিক।
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাও. রফিকুল ইসলাম খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, মোবারক হোসেন প্রমুখ।