বাংলাদেশ ভাষাভিত্তিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম | 2023-08-26 20:06:43

বাংলাদেশ ভাষাভিত্তিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি শুধু আমরাই নয়, বিশ্বের অনেক দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি ও স্থানীয়দের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। অনেক দেশেই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়েছেন তাদের রক্ত বৃথা যায়নি। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার মহৎ দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এখন ভাষাভিত্তিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।’

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল চারটায় কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেন তারা সব সময় আঘাত হানে সংস্কৃতির ওপর। আর সেই আঘাতে এসেছিল পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি গঠনের পর থেকে। পাকিস্তানের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল পূর্ব বাংলার জনগণ। পাকিস্তান ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় তাদের শোষণ বঞ্চনার শিকার হয় নিরীহ মানুষ। একসময় আরবি হরফে বাংলা লিখতে হতো। সেখানেও প্রতিবাদ করেছে ছাত্ররা। এভাবেই বারবার বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র শাসনতন্ত্রই দেয়নি, বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ঘোষণার যে প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, সেটাও কার্যকর করা হয়। শহীদ মিনার তৈরির জন্য সেসময় প্রকল্প গ্রহণ করে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। বাংলাদেশের মানুষ যদি একটু সুযোগ-সুবিধা পায়, তখনি একটা আঘাত আসে। এ প্রক্রিয়াটি এখনও অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনা করুক সেটাও অনেকের সহ্য হয় না। কিছু মানুষ আছে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোর্ট মার্শাল হয়, অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন এই গোষ্ঠি তৃপ্তি পায়। নিজেরা একটু ক্ষমতায় আসার গন্ধ পেলে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করে।’

জামায়াতকে নমিনেশন দেয়ায় জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নমিনেশন তারা (বিএনপি) অকশনে দিয়েছিল। যে টাকা দিয়েছে নমিনেশন পেয়েছে, যে পারছে না তারটি বাতিল করা হয়েছে। তারা নমিনেশন দিয়েছে বিদেশে বসে। যারা নির্বাচনে গিয়ে এ ধরনের ব্যবসা করেছে তারা জেতার স্বপ্ন দেখে কিভাবে। সবচেয়ে বড় কথা যুদ্ধাপরাধী জামায়াত যারা নিবন্ধিত না তাদেরকেও নমিনেশন দেয়ায় জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের এ দেশের মানুষ ভোট দেবে না।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আমাদের উপর অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা দেশকে উন্নত করে অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলাম। সেটি বেশিদিন অব্যাহত থাকেনি। ২০০১ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনের শুরু থেকে দেশের মানুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছিল। একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো অত্যাচার করা হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের। আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে। আইভি রহমানসহ অনেকেই নিহত হয়েছিল।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর