চিকিৎসকদের দায়িত্ব এবং রোগীদের প্রত্যাশিত সেবার মান নিশ্চিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল নিয়ে রাজনীতি ও বাণিজ্য না করার আহবান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেছেন, হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষার জায়গা। এখানে আমি রাজনীতি করতে আসিনি। কেউ যদি রাজনীতি করতে আসে, এটাকে ঘিরে রাজনীতি করা হয়, তাহলে সেটা খুব অসৎ উদ্দেশ্য হবে। চিকিৎসকবৃন্দ, নার্স থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী, সবাই এখানে জনসেবার জন্য এসেছেন; যাতে এখানে রাজনীতি কিংবা বাণিজ্য না হয়।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে চমেক পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকেদর তিনি বলেন, এত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কর্মকর্তারা রোগী ও স্বজনদের সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছেন। এটি আসলে প্রশংসনীয়। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে এটা আসলে সম্ভব হতো না। যে অর্থে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সময়ের সাথে সাথে প্রত্যাশার চাপ বেড়েছে, তবে সে অর্থে সেবা বাড়েনি। আমাদের সীমাবদ্ধাও রয়েছে। হাসপাতাল ঘিরে সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনা। প্রায় চার হাজার বেডের হাসপাতাল করার পরিকল্পনা আছে। তবে কীভাবে স্বল্প সময়ে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করতে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চাই। সরাসরি দেখে গিয়েছি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিদর্শনের আগে আলোচনা সভায় অংশ নেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, চিকিৎসা সেবা কোনো ধরনের গাফলতি বা দীর্ঘসূত্রিতায় পিছিয়ে পড়ুক এটা আমরা কখনই চাই না। ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী থাকলেও ভুল করলে জাস্টিফাই করার সুযোগ থাকে, কিন্তু মহান ও দায়িত্বের পেশা হিসেবে চিকিৎসকদের কাজে কোনো দুর্বলতা না থাকুক।
শিক্ষা উপমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার মহসিন উদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা, সেসবেরও খোঁজ খবর নেন। রোগী, তাদের স্বজন ও চিকিৎসকদের সাথেও কথা বলেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।