মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া পরিশোধ, গ্র্যাচুইটি, পিএফ ফান্ডের টাকা পরিশোধসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে চট্টগ্রামে সড়ক ও রেলপত্র অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন পাটকলের শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলে।
নগরীর মুরাদপুর এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে এবং সড়কে অবস্থান নিয়ে দাবির পক্ষে স্লোগান দেন শ্রমিকরা। একইসাথে সীতাকুণ্ড উপজেলায় দাবির পক্ষে সড়কে ও রেলপথে অবস্থান শ্রমিকরা।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, শান্তিপূর্ণভাবে মজুরি নির্ধারণসহ বেশ কয়েকটি দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসলেও সরকার এ বিষয়ে কার্যত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আজ আমরা নিয়মের মধ্যে থেকে দাবি আদায়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করি।
শ্রসিক নেতা মো. কামাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, দাবি আদায়ে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা না এলে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আন্দোলনে কারণে মানুষের ভোগান্তির প্রশ্নে শ্রমিকরা বলেন, আমরা কোনো যানবাহন ভাংচুর করিনি। এইচএসসি পরীক্ষা ও জরুরি কাজে ব্যবহূত যানবাহন আমাদের আন্দোলনের বাইরে ছিল।
এর আগে একই দাবিতে সোমবার (১ এপ্রিল) সমাবেশ করেন পাটকলের শ্রমিকরা। বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন ১০টি জুট এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদন শিল্প কমিশন ২০১৫’ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
এদিকে শ্রমিকদের এই আন্দোলনের কারণে পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রেলপথ অবরোধ করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। নগরীর মুরাদপুর এলাকা দিয়ে চলাচল করা পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। এছাড়া রেল অবরোধের কারণে চাঁদপুর থেকে আসা চট্টগ্রাম মেঘনা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম পাগাড়িকা এক্সপ্রেস বন্ধ থাকে।