সিলেট নগরীর শেখঘাটের কলাপাড়া এলাকা থেকে রাজনা চৌধুরী (২০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলের দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ রাজনার মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।
রাজনা চৌধুরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন থানার কদমশ্রী গ্রামে। তার স্বামী লক্ষণের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের গাড়ি চালক। মাসখানেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন লক্ষন ও রাজনা।
চলতি মাসের ৪ তারিখে কলাপাড়ার হাজী ফজলুল হকের বাসায় ভাড়া উঠেন তারা।
রাজনার বাবা সুভাষ চন্দ্র চৌধুরীর দাবি, মোবাইল ফোন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে মেয়ের স্বামী লক্ষন।
তিনি বলেন, ‘গতরাতে রাজনা ও লক্ষণের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর স্বামী-স্ত্রী নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় আমি বাসায় থাকলেও রাজনার মা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সকালে আমি দেখি ঘরের দরজা খোলা এবং লক্ষণ বাসায় নেই। পরে মেয়ের কক্ষে গিয়ে মেয়েকে ডাকাডাকি করলেও মেয়ে কোনো সাড়া দেয়নি।’
দুপুরের দিকে রাজনার মা হাসপাতাল থেকে এসে মেয়েকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাজনাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’