উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে বিশেষ করে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর ভেতরে দুর্নীতির প্রবণতা মাত্রা বেশি বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে শঙ্কা বোধ করেন। অথচ শিক্ষিত জনগোষ্ঠীদের কিছু বোঝানো যায় না। তারা নিজেরাই ভালো বুঝে। এদের মাঝে দুর্নীতি মাত্রা বেশি, যাদের খুব সহজে ধরা যায় না। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। উপরের লেভলের কর্মকর্তাদের এই মাত্রা বেশি। নিচে খুব একটা নেই। উচ্চপদস্থ এমন কর্মকর্তাদের কারণেই দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক কমিশনার বলেন, ‘গুটি কয়েক দুর্নীতিবাজদের কারণে প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রের পরিকল্পনা করেছেন। না হয় আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০৩০ সালেই আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতাম। শষ্যের ভেতরে ভূত থাকলে হবে না, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, আওয়াজ তুলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলে-কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার মধ্যে দুর্নীতির বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করছি। অনেকের অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করছি। তবে আমাদের দেশে অনেকেই অনিয়মের খোঁজ-খবর রাখেন তবে তারা অভিযোগ লিখতে পারেন না। যে অভিযোগ আসে এর মধ্যে ৮০ শতাংশ নথিভুক্ত হয়, তবে ২০ শতাংশের অনিয়মের মাত্রা বেশি।’
চট্টগ্রামের (ভারপ্রাপ্ত) বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন শাহার সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রামের জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম এবং দুদকের কার্যক্রমের বিষয়ে কমিশনারকে অবহিত করেন কর্মকর্তারা।