হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার অভিযোগপত্র ডিসেম্বরেই

, জাতীয়

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-24 15:27:14

  চলতি ডিসেম্বরেই হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম। গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। বহির্বিশে^ দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতেই হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনা ঘটানো হয় উল্লেখ করে সিটিটিসিপ্রধান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের ভয়াবহ এ জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড, প্রশিক্ষক, অর্থদাতা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার মূল কারণ উন্মোচিত। এখনো অল্প কিছু বিষয়ে তদন্ত চলছে। তারপরও চলতি মাসেই স্পর্শকাতর এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। মনিরুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় গ্রেফতার গুরুত্বপূর্ণ আসামি সোহেল মাহফুজ, রাজিব, রাশেদ, জাহাঙ্গীর ও রিগ্যানসহ মোট সাত আসামি এখন কারাগারে। এদের অনেকেই হামলা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে হামলার সঙ্গে জড়িত আসামি হাদিসুর রহমান সাগর এখনো পলাতক। হামলায় অর্থ যোগানদাতাদের আকরাম হোসেন নামে একজন এখনো গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১৫ আগস্ট পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে পুলিশের অভিযানে নিহত সাইফুল ইসলামের অর্থদাতাও এই আকরাম। এছাড়া হোলি আর্টিজান হামলায় জড়িত বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট, মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান ও তামিম চৌধুরী পুলিশের অভিযানে নিহত হন যা অতি সম্প্রতি ডিএনএন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় পুলিশ। সিটিটিসিপ্রধান বলেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একের পর এক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকেই হামলার কারণ উদঘাটন করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসিপ্রধান বলেন, হামলায় আইএসের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে হামলাকারীদের অন্যতম তামিম চৌধুরী ও সারওয়ার জাহানের উদ্দেশ্য ছিল আইএস ও আল কায়েদার মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। পাশাপাশি বহির্বিশে^ বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা। হামলার পেছনে রাজনৈতিক চিন্তাও ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিক ও দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরের দিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোদের টানা ১২ ঘণ্টার অভিযানে জিম্মি সঙ্কটের সমাপ্তি ঘটে। সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে নিহত হয় ৬ জঙ্গি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর