মহান মে দিবস

শ্রমে ঘামে মাঠে ঘাটে যে জীবন

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’


মানসুরা চামেলী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শ্রমিকের সরল হাসি, ছবি: নূর এ আলম

শ্রমিকের সরল হাসি, ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথার উপর তপ্ত সূর্য। ঘামে ভিজে সপসপে শরীর। জীর্ণ মুখে মুক্তার মতো চক চক করছে ঘামের ফোঁটা। বিরতি দিয়ে টপটপ করে গাল-থুতনি বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা সেই ঘাম পড়ছে মাটিতে। রোদের এমন প্রখরতা; চোখ খুলে তাকানোটা দায়! আবহাওয়ার এমন বৈরিতায় দৃষ্টি কাড়ে মুখভর্তি হাসি নিয়ে দাঁড়ানো এক সরল চাহনী! তাকে দেখলে মনে হবে বলছেন ‘আজন্ম কাঁধে শোষণের চাকা বইবো না/ এবার লড়াই, এবার লড়াইয়ে অস্ত্র শানিয়ে দাঁড়া।’

সূর্যের উগ্রতা তোয়াক্কা করে তুরাগের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা সরল চাহনীর এই নারী একজন দিনমজুর। ঢাকার আমিন বাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে তুরাগ নদীর তীরে বালু লোড-আনলোডের কাজ করেন তিনি। দিনভর উত্তপ্ত গরমে শ্রম দেন, তার বিনিময়ে যৎসামান্য মজুরির জুটে তার কপালে। তাদের বলা হয় শ্রমজীবী মানুষ। যাদের সংসারে অভাব লেগেই থাকে। দুবেলা ভালো খাবার জুটত না। সংসারের অভাব দূর করতে করেন অমানসিক পরিশ্রম।

ছবি: নূর এ আলম

এমন শ্রমজীবী মানুষের জন্য অধিকার রক্ষায় ১ মে পালিত হয় আন্তজার্তিক শ্রমিক দিবস। দিনটি মে দিবস বলেও পরিচিত। আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রম অধিকার আদায়ের এ দিনটি বছরের পর বছর ধরে বিশ্বব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। শ্রমিকদের সম্মানে মে দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালন করে বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশ।

উনিশ শতাব্দীর আগে কারখানার শ্রমিকদের দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চাইতেও বেশি। কিন্তু কাজ অনুপাতে পারিশ্রমিক ছিল স্বল্প। যা তাঁদের জীবনধারণের জন্য যথাযথ ছিল না। একটা পর্যায়ে শ্রমিকপক্ষ ক্ষুব্ধ হতে থাকে। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে একদল শ্রমিক মালিকপক্ষকে দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মসময় নির্ধারণের দাবি জানায়। এ দাবি পূরণের সময় হিসেবে ১৮৮৬ সালের ১ মে নির্ধারণ করেন শ্রমিকেরা। কিন্তু কারখানার মালিকেরা শ্রমিকদের এ দাবি কানে তোলেননি। ফলাফলে ১৮৮৬ সালের ৪ মে শিকাগোর হে মার্কেট নামক স্থানে ফের আন্দোলন গড়ে তোলেন শ্রমিকেরা। সেখানে পুলিশ আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি বর্ষণ করলে নিহত হন ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক।


এ ঘটনার দুই বছর পর ১৮৮৯ সালে প্যারিসে ফরাসি বিপ্লবের ১০০ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেসে শিকাগো শ্রমিক আন্দোলনের দিনটিকে ১৮৯০ সাল থেকে পালনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। পরের বছর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কংগ্রেসে প্রস্তাবনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। পরে ১৯০৪ সালে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবি আদায় এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বব্যাপী মে মাসের প্রথম দিন মিছিল ও শোভাযাত্রার আয়োজন করতে সব সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল ও শ্রমিক সংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের সাড়া হিসেবে বিশ্বের প্রায় সব শ্রমিক সংগঠন ১ মে বাধ্যতামূলক কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক দেশের শ্রমিকেরা মে মাসের ১ তারিখ সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালনের দাবি জানান। বিভিন্ন দেশে মে দিবস সরকারিভাবে ছুটির দিন হিসেবে পালিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে রাশিয়া, চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ দিনটির তাৎপর্য ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার দাবি।


শ্রমিকদের অধিকার ও দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে মে দিবস পালিত হয়। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মে দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় মে দিবস।

তবে শ্রমিকদের কাছে মে দিবস যেন আরেকটা দিন। এ বিষয়ে অনেকেই অবগত নন। কারণ এই দিনেও তাদের জীবিকার সন্ধানে বের হতে হবে। না হলে জুটবে না দুমুঠো ভাত। অনাহারে থাকবে পরিবারের সদস্যরা। সুতরাং যাদের জন্য শ্রম দিবস তাদের কাছে এই দিনটির কোন গুরুত্ব নেই। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীদের কাছে শ্রমেই ধর্ম, শ্রমই কর্ম। তাই তো বালু শ্রমিকসহ শ্রমিকদের মুখে একই বক্তব্য ‘আমাদের সব দিবসই সমান। কাম করলে টাকা না করলে কোন টাকা পায় না। এই জন্য আমাগো কোন ছুটির দিনও নেই। কাম করায় লাগবে। কাম না করলে সংসারই চলবে না।’

শ্রমজীবী মানুষকে জাগিয়ে তুলতে এগিয়ে আসতে হবে সমাজ ও সরকারকে। দেশের অভ্যন্তরে আয় বৈষম্য যে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে, তা প্রতিহত করে শ্রমিকদের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে প্রতিহত হবে অন্যায়, নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার মতো অশুভ শক্তি। এর মাধ্যমে মে দিবসের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নও ঘটবে। সেদিনের প্রত্যাশায় কাজী নজরুল ইসলামের সাথে সুর মেলাবে সবাই– জাগো অনশন-বন্দী, ওঠ রে যত/ জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত!/ যত অত্যাচারে আজি বজ্র হানি'/হাঁকে নিপীড়িত-জন-মন-মথিত বাণী,/নব জনম লভি' অভিনব ধরণী/ওরে ঐ আগত/আদি শৃঙ্খল সনাতন শাস্ত্র-আচার/মূল সর্বনাশের, এরে ভাঙিব এবার!/ভেদি' দৈত-কারা/আয় সর্বহারা!/ কেহ রহিবে না আর পর পদ-আনত।

   

হাটহাজারীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা পি.পি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারীর জোবরা পি.পি কেন্দ্রের বাইরে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল আলম ও সোহরাব হোসেন নোমানের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় দুই পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরস্পরের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এসময় রেললাইনের পাশে আগুন দেওয়া হয়।

ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্বাভাবিক থাকলেও বাইরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স তাদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে। তবে এতে ভোট গ্রহণের কোনো সমস্যা হয়নি। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।

ফটিকছড়িতে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানও হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে নির্বাচনী সংস্কৃতি এখানে দেখা যায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থক এবং কর্মীদের মধ্যে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে। এর থেকে অনেক সময় দেখা তাদের মধ্যে হট্টগোল হয়ে থাকে। হাটহাজারীর জোবরা কেন্দ্রে এ ধরনের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সেখানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন এবং পরিস্থিতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোট গ্রহণে কোন সমস্যা হয়নি।

এদিকে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ তিন উপজেলায় ২১ জন প্রার্থী তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে স্কুল শিক্ষার্থী নাফিজা মোবারক মাদিহা (৮) ও তার আপন ভাই মো. ওমরের (৫) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই সন্তানকে হারিয়ে তাদের মা-বাবাসহ স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন নিহতদের মা।

নিহত নাফিজা স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ও ওমর প্লে শাখার ছাত্র। তারা কামালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদের সন্তান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুর ঘাটে গেলে পা পিছলে ওমর পানিতে পড়ে যায়। এসময় ভাইকে বাঁচানোর জন্য নাফিজাও পানিতে নামে। এতে দু'জনেই পানিতে ডুবে যায়। পরে ওমর ও নাফিজাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) খুরশিদ আলম বলেন, 'ঘটনাটি মর্মান্তিক। একসঙ্গে দুটি সন্তানের মৃত্যু খুব বেদনাদায়ক। নিহতদের মা-বাবাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।'

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

নিখোঁজ এমপি আনারের কোনো আপডেট নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বিষয়ে জানতে চাইলে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আনারের বিষয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই। যতটুকু শুনছি, আনারের মোবাইলটাও বন্ধ আছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের ও ভারতের ইমিগ্রেশন পার হয়ে যথাযথভাবেই তিনি ভারতে যান। তার পরিবার থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, তার কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি সব সংস্থা এটা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের এনএসআই, এসবি ও পুলিশ কাজ করছে। ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি, ভারতীয় সরকারের মাধ্যমে শিগগিরই তার বিষয়ে জানতে পারব।

এর আগে, গত ১৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এমপি মো. আনোয়ারুল আজিম আনারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি কলকাতায় গেছেন, এসে পড়বেন।

সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি পুরোনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝেশুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মিয়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবস্থান সংকটজনক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

'বৈশ্বিক মতপ্রকাশ প্রতিবেদন ২০২৪' অনুসারে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন। ৫ বছরের সময়কাল (২০১৮-২৩) বিবেচনায় নিলেও স্কোরের দিক থেকে একই জায়গায় আটকে আছে বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর লেকশোর হাইটসে 'আর্টিকেল নাইনটিনের' বৈশ্বিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিবেদন প্রকাশ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম।

তিনি বলেন, 'বিগত দশ বছর বা ২০১৩-২০২৩ সাল এই সময়কাল বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের মতপ্রকাশ স্কোর কমেছে ৮ পয়েন্ট। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিআরএক্স স্কোর ছিল ২০ যা মতপ্রকাশের শ্রেণীগত দিক থেকে অতি বাধাগ্রস্ত দেশ। ২০১৪ সালে স্কোর ৪ পয়েন্ট কমে ১৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণীতে ঢুকে পড়ে। যা থেকে বাংলাদেশ এখনও উত্তরণ ঘটাতে পারেনি।'

একইভাবে ২০০০ সাল থেকে মতপ্রকাশের স্কোর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে এই সময়কালে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে ৩২ পয়েন্ট। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪, যেটি মতপ্রকাশের শ্রেণীগত দিক থেকে 'বাধাগ্রস্ত' হিসেবে বিবেচিত। 'বাধাগ্রস্ত' থেকে 'অতিবাধাগ্রস্ত' দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবনমন হয় ২০০৬ সালে। স্কোর ২০০৫ সালের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ৩৯ এ। পরবর্তী বছর ২০০৭ সালে আরও ১০ পয়েন্ট কমে স্কোর নেমে আসে ২৯ এ। পরের দুই বছর (২০০৮ ও ২০০৯ সালে) স্কোর ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৩৪এ উন্নীত হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি পরবর্তী বছরগুলোতে। বরং বছর বছর স্কোর কমেছে এবং মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণীতে নেমে আসে ২০১৪ সালে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ( টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, 'মানুষ কে প্রটেক্ট করার নামে মানুষের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এখন ক্ষমতার রাজনীতির সাথে স্বাধীন মত প্রকাশের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান।'

এ সময় দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটে জনগণ সবচেয়ে বিপদে আছে। নাগরিক পরিসরে সংকুচিত হচ্ছে। রাষ্ট্র যদি জনগণকে ভয় পায় বা সন্দেহ করে তবে তা সবচেয়ে বিপজ্জনক।'

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;