দরিদ্র জেলেদের ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক জাট এবং কোস্ট ট্রাস্ট। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদ এবং প্রাণ বৈচিত্র ধ্বংসকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় সংগঠন সংশ্লিষ্টরা।
মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক জোটের সচিবালয় সমন্বয়কারী মজিবুল হক মনির বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকার ছোট ছোট নৌকায় মাছ ধরা দরিদ্র জেলেদের সাগর দূষণ এবং প্রাণ বৈচিত্র ক্ষতিতে অবদান খুবই নগণ্য, এর জন্য বড় বড় দূষণকারী জাহাজ দায়ী। সাগর দূষণকারী, ক্ষতিকর বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরা মৎস্য সম্পদ ও প্রাণ বৈচিত্র্যের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে দরিদ্র জেলেদেরকে ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখতে হবে।’
কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘সমুদ্রের প্রাণ বৈচিত্র ক্ষতির জন্য দরিদ্র জেলেরা মাত্র ৪ ভাগ দায়ী। অথচ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন তারাই। প্লাস্টিক দূষণ, তেল পরিবহন, জাহাজ ভাঙা শিল্প ইত্যাদি সাগর দূষণের জন্য ৯৬ শতাংশ দায়ী। অথচ এদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কোনো উদ্যোগ নেই। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় প্রকৃতপক্ষে প্রান্তিক জেলেদের কোনো উপকারেই আসবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের দারিদ্র বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ৬৫ দিনের জন্য একটি জেলে পরিবারকে মাত্র ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া ভয়াবহ রকম দুর্ভোগের।’
কোস্ট ট্রাস্টের কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বরকত উল্লাহ মারুফ, বাংলাদশ কৃষক ফেডারেশনের পক্ষে বদরুল আলম এবং বাংলাদেশ কিষাণী সভার রেহেনা বেগম প্রমুখ।