যেখানে অর্থকরীর কথা থাকে, সেখানে সামর্থ্যের কথাও থাকে। কিন্তু সরকারিভাবে ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে যক্ষা রোগীদের সেবা দিচ্ছে সরকার ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা। তারপর অনিহা-অসচেতনতা থেকে ভূগছে অধিকাংশ যক্ষা রোগী। তারা নিজের প্রতি একটু সচেতন হলেই সময় মতো চিকিৎসা নিয়ে যক্ষা রোগের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে পারে।
রোববার (১৬ জুন) ফরিদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সভাকক্ষে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি ফরিদপুর শাখা।
সভায় যক্ষারোগ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, স্বাচিপের সভাপতি ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ জলিল।
তিনি বলেন, কায়েদী আজম থেকে শুরু করে কবি সুকান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে যক্ষা রোগ থেকে। আগে এক সময় অত্যন্ত ভয়াবহ রোগ ছিল যক্ষা। কিন্তু কালের বিবর্তনে বিজ্ঞানের বিকাশে প্রতিষেধক তৈরি হয়ে হয়েছে। এখন আর এই রোগ তেমন কোনো সমস্যা নয়। রোগের চিকিৎসা করে সুস্থ্য হওয়া সম্ভব। তবে সমস্যা হচ্ছে জনসচেতনতা। আমরা অনেক ক্ষেত্রে অবহেলা করি ঠিকমতো ওষুধ খাই না।
তিনি বলেন, এক নাগাড়ে ২/৩ সপ্তাহ কাশি থাকলে অবশ্যই কফ পরীক্ষা করে যক্ষার বিষয়ে জানতে হবে। সচেতনতার অভাবে নিজেও যক্ষায় ভূগছে আবার বছরে আরও দশজন যক্ষা রোগী তৈরি করছে। তাই এই রোগে সচেতনতার বিকল্প নেই।
নাটাবের ফরিদপুরের সভাপতি বিশিষ্ট ওষুধ ব্যবসায়ী সৈয়দ নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে নাটাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফয়েজ আহম্মেদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক হাসানউজ্জামান, প্রবীন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম মনি, প্রবীর কান্তি বালাসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।