আসন্ন ঈদুল আজহায় সড়কে পশু কোরবানি না করার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাড়ির আঙ্গিনায় কোরবানির পর নিজ দায়িত্বে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের আঙ্গিনায় পশু কোরবানি করা হলে আয়োজকদের স্ব-উদ্যোগে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। সারা দেশে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার জন্য সকল সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। কোনোক্রমেই উন্মুক্ত স্থানে কিংবা সড়কে কোরবানি দেওয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের নির্দেশনার আলোকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার বিভাগের এ সংক্রান্ত দুটি সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, কোরবানির প্রতিটি পশুর হাটে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্ধারিত কোরবানির স্থান ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ডিসপ্লেতে জনগণকে জানানোর ব্যবস্থা করা হবে। কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানসমূহ স্বাস্থ্যসম্মত রাখার পাশাপাশি বর্ষাকাল বিবেচনায় সামিয়ানা বা ত্রিপল টাঙানো হবে। জবাইকৃত পশুর রক্ত অপসারণের জন্য ড্রেনেজ ও প্রয়োজনীয় বসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পশু জবাই কাজে স্থানীয় যুব সংগঠন, সমবায় সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি সার্জনের সমন্বয়ে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিকেল টিম ক্ষতিকর স্টেরয়েড প্রয়োগকৃত পশু ও অসুস্থ পশু শনাক্ত করবে এবং এ ধরণের পশু যাতে পশুর হাটে প্রদর্শন বা বিক্রি না হয় সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া মসজিদের ইমামগণকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির পশু জবাই কার্যক্রমের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।