রাজশাহীর মোহনপুরে বিয়ের দাবিতে অনশন করা কলেজছাত্রী জরিনা খাতুনকে (২১) জোর করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগে প্রেমিকের মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার হওয়া মাফেজান বেগম (৪৫) উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী। তার ছেলে মাহাবুবুর রহমানের (২২) সঙ্গে নিহত কলেজছাত্রী জরিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জরিনা একই উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের বদর উদ্দিনের মেয়ে।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে জানান, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে প্রেমিক মাহাবুবুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তাকে আশ্বাস দিয়েও বাড়ি ফেরাতে না পেরে একপর্যায়ে প্রেমিক মাহবুবুর রহমান মারধর করেন।
ওসি জানান, পরে জানা যায়- অনশন করা অবস্থায় জরিনা প্রেমিকের বাড়িতে বিষপান করেন এবং তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায়। মৃত্যুর পর বিষয়টি জরিনার পরিবারকে জানায় প্রেমিক মাহাবুবুর রহমানের পরিবার। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই ৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন জরিনার বাবা বদর উদ্দিন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে জরিনা খাতুন প্রেমিক মাহাবুবুরের দ্বারা প্রতারিত হন এবং বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নেন। বিষয়টি মেনে না নিয়ে প্রেমিক মাহাবুবুর ও তার বাবা-মা-বোন ও দুলাভাই মিলে জরিনাকে মারপিট করেন। একপর্যায়ে তারা জোর করে জরিনার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এতে জরিনার মৃত্যু হয়।
ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, 'মামলার পর বৃহস্পতিবার রাতেই মামলার তিন নম্বর আসামি মাফেজান বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে মূল আসামি মাহাবুবুর রহমান ও তার বাবা-বোন এবং দুলাভাই পলাতক থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।'