অবৈধ পথে সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতীয় গরু ঢুকছে। যদিও সিলেট সীমান্তে বৈধভাবে গরু আনতে চারটি করিডর রয়েছে। এসব করিডরে প্রতিটি গরুর জন্য রাজস্ব আদায় করে বৈধতা দেয়া হয়। তবে রাজস্ব ফাঁকি দিতে চোরাকারবারিরা করিডর দিয়ে গরু না এনে অবৈধ পথে গরু আনছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বিজিবির অভিযানে ১৪টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২২ আগস্ট কানাইঘাট উপজেলা সীমান্তে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা ১৯টি গরু ও ২৭ আগস্ট আরও ১২টি ভারতীয় গরু আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত সিলেটে মাংস বিক্রির জন্যই সারাবছর সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনা হয়। এসব গরুর বেশিরভাগই স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত থেকে আসা গরু মাংসের দোকানগুলোতে কোনো রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই জবাই করে বিক্রি করা হয়। এসব গরুর মাংসের মাধ্যমে জনসাধারণ নানান জটিল রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরে মাংসের দোকান রয়েছে ৮৯টি। বিপরীতে নগরে একটি মাত্র সরাইখানা রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে ১৫ থেকে ২০টি গরু জবাই করা হয়। বাকি গরুগুলো নিজেদের দোকানেই কোনও পরীক্ষা ছাড়াই জবাই করেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
সিলেটের সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা ভারতীয় গরুর বেশিরভাগই স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এসব গরু আমদানিকালে সীমান্তেই পরীক্ষা করা উচিত। জবাইয়ের আগেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।’
৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ ইউসুফ জামিল জানান, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে যাতে গরু আসতে না পারে, সেজন্য তৎপর রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা। সন্দেহভাজন এলাকায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। স্থানীয়দেরও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে বলা হয়েছে।