ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রজনন মৌসুমে টানা ২২ (৯-৩০ অক্টোবর) দিন ইলিশ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন বাজারগুলোতে দেখা মেলেনি ইলিশের। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশাল নগরের পোর্টরোডস্থ মাছের পাইকারি বাজারগুলো ইলিশে সরগরম হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে বরিশালের রুপালি ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে পোর্টরোডস্থ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে।
আড়ত ব্যবসায়ী সামসুল আলম নাদিম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩০ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকেই ইলিশ শিকারের উদ্দেশে নদী ও সাগরে নেমে পড়েন জেলেরা। স্থানীয় নদীর রুপালি ইলিশ সকাল থেকে বাজারে আসছে। তবে এখনো সাগরের মাছ আসেনি। সাগরের মাছ বাজারে আসতে আরও ৪/৫ দিন সময় লাগবে।'
অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, 'এভাবে ইলিশের আমদানি থাকলে সামনের দিনগুলোতে জেলে-ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের দিন ভালো কাটবে। পাশাপাশি ক্ষতিও পুষবে তাদের। তবে সাগর থেকে মাছ আসতে কয়েকদিন সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে নদী থেকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লে এবং সাগরের মাছও আসতে শুরু করলে বাজারগুলো পুরো ইলিশে সয়লাব হয়ে যাবে। ফলে ইলিশের দামও কমে যাবে।'
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকালে এক কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৩০/৩২ হাজার এবং কেজির ওপরে ইলিশের মণ ৩৫/৪০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ভেলকা মাপের ইলিশ ১৬/১৮ হাজার, এলসি মাপের ইলিশ (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজন) ২৪/২৫ হাজারে বিক্রি হয়।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, নদীতে প্রচুর মাছ থাকায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ উঠছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে তারা ইলিশ ধরে বাজারে নিয়ে আসতে পেরেছেন। বাজারগুলোতে ইলিশের সরবরাহ অনেক বেশি। দামও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
এদিকে, সকাল থেকেই নগরের পোর্টরোডস্থ মাছের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারি এ বাজারে ইলিশের চাপও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকা ও ট্রলারে করে ইলিশ নিয়ে আসতে দেখা গেছে ব্যবসায়ী ও জেলেদের।