রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তফার আমন্ত্রণে থানায় জন্মদিন উদযাপন করলেন যুবলীগের বহিষ্কৃত এক নেতা। থানায় ওসির টেবিলে জন্মদিনের কেক কাটার সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওসি।
যুবলীগের ওই নেতা হলেন তৌহিদুল হক সুমন। তিনি মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালে নগরীর শিরোইল এলাকার এক শিশুকে বলাৎকারের দায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে তিনি বেশ আলোচিত-সমালোচিত। তিনি নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
জানা গেছে, গত ৮ ডিসেম্বর ছিল তৌহিদুল হক সুমনের জন্মদিন। ওইদিন রাতেই নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ওসি শেখ গোলাম মোস্তফার অফিস কক্ষে আনন্দঘন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওসির আমন্ত্রণে সুমন থানায় হাজির হন। এসময় ওসি গোলাম মোস্তফা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে ওসিকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন সুমন। ওসি গোলাম মোস্তফা তাকে কেক খাইয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে চন্দ্রিমা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম ও একজন এসআইও উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে যুবলীগ নেতা সুমন নিজের ফেসবুকে থানায় জন্মদিন উদযাপনের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘চন্দিমা থানার ওসি সাহেব গোলাম মোস্তফা মহোদয়ের স্নেহময় ভালোবাসায়’।
ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কাউন্সিলর সুমন ও ওসি মোস্তফা মোমবাতি জ্বালিয়ে কেক কাটছেন। আর তাদের পাশে দাঁড়িয়ে হাত তালি দিচ্ছেন ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম ও একজন এসআই।
জানতে চাইলে কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, সবার ভালবাসায় বিভিন্নস্থানে আমি কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছি। চন্দ্রিমা থানার ওসি মোস্তফা সাহেব আমাকে ভালবাসেন। তাই তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার আমন্ত্রণেই গিয়ে কেক কেটেছি।
এ ব্যাপারে জানতে চন্দ্রিমা থানার ওসি গোলাম মোস্তফাকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেই জানতে চান, ‘কি বিষয়ে কথা বলবেন?’ যুবলীগ নেতার কেক কাটার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু জানেন না বলে কল কেটে দেন।