জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন আর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনা শুরু করেছে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাই কমিশন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা উৎসব শুরুর পাশাপাশি উদযাপন করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
হাই কমিশনের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ, ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা।
আলেচনা অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে বন্দি ছিলেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর ১৯৭২ সালের এ দিনে (১০ জানুয়ারি) স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।
হাই কমিশনার তার বক্তব্যে আরো বলেন, মুজিব বর্ষ পালনের ক্ষণগণনার ক্ষেত্রে আজকের দিনটি নির্বাচন করায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি জাতির শ্রদ্ধা জ্ঞাপন একটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে মুজিব বর্ষ উদযাপন করবে হাই কমিশন।
বিদেশের মাটিতে মুজিব বর্ষ উদযাপন বিদেশিদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরার এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এরই মধ্যে হাই কমিশনের হলরুম বিভিন্ন পোস্টার, ফেস্টুন ও চিত্রকর্ম দিয়ে সাজানো হয়েছে।