মশার উপদ্রব চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তাই মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপ অনুযায়ী যেসব এলাকায় মশার ঝুঁকি বেশি সেসব স্থানে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এর উৎস নির্মূল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নাগরিকদের সচেতন হওয়া এবং নিজ নিজ বসত বাড়ি, আঙিনা ও তার আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান মেয়র।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলাবাগান মাঠে এডিস মশার উৎস নির্মূলের লক্ষ্যে গৃহীত ডিএসসিসির সপ্তাহব্যাপী স্পেশাল ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
নাগরিকদের এডিস মশার প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আজ স্পেশাল এ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হলো।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫,৬,১১,১৭,৩৭ এবং ৪২ এই ৬টি ওয়ার্ড কে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে ঘোষিত এলাকাসমূহ ঝুঁকিমুক্ত করতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করপোরেশনের মশক কর্মী ও পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক প্রতিটি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করবেন এবং অধিবাসীদের লার্ভা ধ্বংস করার কৌশল শিখিয়ে দেবেন। এরপরও কেউ সচেতন না হলে এবং জনস্বাস্থ্যর জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর অবস্থা দেখা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, জরিপে ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সপ্তাহব্যাপী স্পেশাল কার্যক্রম চালানোর পর পুনরায় জরিপ চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে আহবান জানানো হবে। প্রাপ্ত ফলাফলের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করতে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরও সহায়তা কামনা করেন।
ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো: ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদারসহ বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।