বিডিয়ার বিদ্রোহে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ যারা কলকাঠি নেড়েছিলেন, তদন্তের মাধ্যমে তা বের করে আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘বিডিয়ার বিদ্রোহের পেছনে যারা ছিল তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা দরকার।’
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে টিভি নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে মতবিনিময় ও রাজনৈতিক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিডিআর বিদ্রোহের বিচার সঠিক হয়নি, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পুনরায় সঠিক বিচার করবে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সবকিছুতে ভুলত্রুটি খোঁজার চেষ্টা করে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের শাস্তির বিষয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে, আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। আদালতের রায়কে কটাক্ষ করে কথা বলা, আবার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দেওয়া, আন্দোলন করার চেষ্টা করা, এসব বিএনপি ক্রমাগত করে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের যে বিচার হয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এতবড় ঘটনায় এতগুলো সাক্ষী ও আসামি নিয়ে বিচার কার্য খুব কম হয়েছে। এ কাজটি শেষ করতে সরকার আদালতকে সহযোগিতা করেছে এবং আদালতের রায় হয়েছে। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যারা অভিযুক্ত হয়েছেন তারা শাজাভোগ করছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে তাদের সংশ্রব আছে, যেটি নিয়ে নানা মহল থেকে কথা উঠেছিল এবং বেগম জিয়ার সেদিনকার যে ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়েছে। আমি মনে করি পেছন থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছিল খালেদা জিয়াসহ সেগুলো তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কারণ বিডিআর বিদ্রোহের দিন ভোর রাতে খালেদা জিয়া তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। সেদিন খালেদা রাতে এবং দিনে ৪০ বারের বেশি তার পলাতক ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গ কথা বলেছেন। খালেদা সচরাচর ১১, ১২টার আগে ঘুম থেকে উঠেন না। সেদিন কেনো তিনি ভোররাতে নিরুদ্দেশ হলেন এ রহস্যগুলো খুঁজে বের করে বিডিআর বিদ্রোহে যারা মদদ দিয়েছিল তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা দরকার।’
যুব মহিলা লীগের নেত্রী পাপিয়া ইস্যুতে অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে যুব মহিলা লীগ থেকে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। তাকে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার করণে আমাদের সংগঠনে অনেক অনুপ্রবেশকারী ও সুযোগ সন্ধানী ঢুকেছে। তারা অনেকেই নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। তারা তাদের অপকর্মকে ঢাকার জন্য রাজনৈতিক ঢাল ব্যবহার করার জন্য আমাদের সংগঠনে ঢুকেছে। এদের খুঁজে বের করে সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার পুরান ঢাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ সিন্দুক ভর্তি ১৫ বস্তা টাকা এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো কিছু ধরা পড়লেই সেটাকে আওয়ামী লীগের নেতা বানানোর বাতিক সঠিক নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি সিরিয়াল চালাতে হলে টিভিগুলোকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। আর বিদেশি শিল্পী দিয়ে সিরিয়াল বানাতে হলে মডেলদের শুল্কের পাশাপাশি নির্মাতাদেরও ট্যাক্স দিতে হবে।’