২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সমমনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ৪টি গুচ্ছে ভাগ করে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকর্মীদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
তিনি জানান, সাতটি কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি, এগারটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি, তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি এবং নয়টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় কোন গ্রুপে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে সেটি ঐ বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সভায় ৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের মনোনীত প্রতিনিধি এবং ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লজিস্টিক সহযোগিতা ছাড়া কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব। ফলে নতুন করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ নীতিগতভাবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে একমত হন ।
প্রফেসর শহীদুল্লাহ বলেন, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম এর নেতৃত্বে বিভিন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। টেকনিক্যাল কমিটি ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য লিড বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। এ কমিটি ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিসহ নানা বিষয়ে কাজ করবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা সকলেই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে।
প্রফেসর ড. আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে। আশা করা যায়, ইউজিসি’র সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমবে এবং অর্থ সাশ্রয় হবে।