বাংলাদেশ থেকে সব ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করল কুয়েত এয়ারওয়েজ। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে কুয়েত সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুধু বাংলাদেশই নয়, কুয়েত এয়ারওয়েজ মিশর, লেবানন, সিরিয়া, ফিলিপাইন, ভারত ও শ্রীলংকার ফ্লাইটও চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। কুয়েত সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টোরেট এক টুইট বার্তায় জানায়, শনিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
ফ্লাইট চলাচল বন্ধের পাশাপাশি গত দুই সপ্তাহ থেকে এই সাত দেশ থেকে কুয়েতে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা কোয়ারান্টাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যাবে, কেবলমাত্র তারাই সেদেশে প্রবেশের অনুমতি পাবে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আকাশপথে যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। আর এ কারণে চীনের মূল ভূখণ্ডে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের নামি-দামি সব এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে এখনো পর্যন্ত কোনো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বন্ধ না হলেও যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে চীনগামী ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী সংখ্যা ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। চীন থেকে ঢাকামূখী ফ্লাইটেও যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এ অবস্থায় ঢাকা-চীন রুটে ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) বলছে, যেভাবে এয়ারলাইন্সগুলোতে যাত্রী কমে গিয়েছে তাতে এ খাতে এ বছরে ২৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান হবে। এর মধ্য এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের এয়ারলাইন্সগুলোর লোকসান দেবে ২৭.৮ বিলিয়ন ডলার। আর এশিয়ার বাইরে ১.৫ বিলিয়ন ডলার লোকসান হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএটিএ বলছে, চীনের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল খাতে লোকসান হবে ১২.৮ বিলিয়ন ডলার। ট্রেড বডিগুলো বলছে, এয়ারলাইন্সগুলোতে ১৩ শতাংশ যাত্রী কমেছে, যার বেশিরভাগ চীনে।