মুকুলে ভরে গেছে ঝিনাইদহের আমবাগানগুলো। মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত বাগানগুলো। গাছের প্রতিটি ডালে ডালে হলুদ মুকুলের থোকা দেখে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। তাইতো ভালো ফলন পেতে আর মুকুল ধরে রাখতে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা।
জেলা কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এখানে চাষ করা হচ্ছে আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষিরসা, হাড়িভাঙ্গা, হিমসাগরসহ নানান জাতের আম। চলতি মৌসুমে কুয়াশার আধিক্য আর বৃষ্টিপাত না থাকায় মুকুলের এখন পর্যন্ত কোন ক্ষতি হয়নি। তাই ভাল ফল পেতে এখন বাগান পরিচর্যার কাজে পুরোদমে ব্যস্ত মালিকরা।
সদর উপজেলার কালুহাটি গ্রামের আমচাষি আমানত শেখ বলেন, তার এ বছর ৩ বিঘা জমিতে আমের বাগান রয়েছে। সেখানে চাষ করা হচ্ছে আম্রপলি জাতের আম। বাগানে যে পরিমাণ মুকুল এসে। তা দেখে ফলন ভালো পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
একই গ্রামের আমবাগানি জহিরুল ইসলাম বলেন, এ বছর কুয়াশা তেমন একটা হয়নি। কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছিল তাকে মুকুলের কোন ক্ষতি হয়নি। মুকুল থাকলে এবারও গত বছরের মতো লাভের মুখ দেখবেন তারা।
কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের আমচাষি আরিফ হোসেন বলেন, পোকা মাকড়ের আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষা ও মুকুল ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত পানি ও ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে আমের গুটি বের হতে শুরু করলে ব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, আমের মুকুলের সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর হচ্ছে হপার পোকা। এই পোকার আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষার জন্য কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়াও আমের ফলন পেতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগতসহ নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।