কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে গ্রেফতার ও শাস্তিপ্রদান প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটি বিধিসম্মত হয়নি।’
রোববার (১৫ মার্চ) বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাতীয় বেতার ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কুড়িগ্রামে একজন সাংবাদিককে যেভাবে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র কোর্ট বসিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, আমার দৃষ্টিতে এটি কোনোভাবেই বিধিসম্মত হয়নি। এটর্নি জেনারেল এরইমধ্যে তার বক্তব্যে এভাবে মধ্যরাতে অন্যত্র কোর্ট বসানো যায় না বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ডিসি হোন বা অন্য কর্মকর্তা হোন, যেই হোন, তিনি যদি আইন বহির্ভূতভাবে কোনো কাজ করে থাকেন সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অন্যরাও যারা এর সঙ্গে জড়িত, তারাও এর দায় এড়াতে পারেন না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কারো কোনো অপরাধ থাকলে তার বিচারেরও নিয়মনীতি রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি না।’
অপর একজন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার খোঁজখবর করছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোকসজ্জা করোনা সংক্রমণে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলোকসজ্জা বরং করোনার কারণে চিন্তিত মানুষকে উজ্জীবিত করবে। প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগমপূর্ণ সব অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। আলোকসজ্জার সঙ্গে জনসমাগমের কোনো সম্পর্ক নেই বিধায় করোনা সংক্রমণে এর কোনো প্রভাবও নেই।’
এরপর মন্ত্রী বেতার মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানুষের আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনও আমাদের লক্ষ্য, এবং বেতার সেই লক্ষ্য অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, সংবাদ ও অনুষ্ঠান শাখার উপ-মহাপরিচালকদ্বয় ও পরিচালকবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের কর্মচারীবৃন্দ।