বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে। কয়েকটি দেশ তাদের দেশে এই সামগ্রী দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এমনকি স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র এমন অনুরোধ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসা সামগ্রী রফতানি বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আসল কথা বলতে পারবে। আমাদের ব্যবসায়ীমহল তাদের অনুরোধ বিবেচনা করছেন। সৌভাগ্যের বিষয় এই যে বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এগুলো তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন থেকে চিকিৎসা সামগ্রী আনানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশে যে সহায়তা দিতে চেয়েছে তা আসছে ২৬ মার্চ। চীনের সহায়তার মধ্যে রয়েছে, দশ হাজার কিট, পনের হাজার সার্জিক্যাল এনরেসপিরেটর, দশ হাজার চিকিৎসা পোশাক এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ২৫ মার্চ ব্যবসায়ীরা চীন থেকে করোনা প্রতিরোধে চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করছে। অন্য দেশ থেকেও সামগ্রী আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যাতে এসব সামগ্রী সহজেই আনতে পারেন সেজন্য এনবিআর এসআরও জারি করেছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে পন্যসামগ্রী রফতানিতে আঘাত এসেছে। ইতিমধ্যে বিজিএমইএ'র তত্ত্বমতে ২ বিলিয়ন ডলারের রফতানি মূল্য কমে গেছে এবং কয়েক লাখ শ্রমিক বেকার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এসকল বিষয় বিবেচনায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ দেশগুলো অবহিত করেছে যাতে এ বিশেষ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিশেষ দেখভাল করতে মিশন প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আমার সঙ্গে বিশ্বে বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে, তারও করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তারা সর্বপ্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।