আরও পড়ুন: ছুটি সীমিত আকারে বাড়ানো হবে: প্রধানমন্ত্রী
জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান না করে, বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় অনেক বড় করে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করি। এবার আমি বলব নববর্ষের অনুষ্ঠান বড় করে না করতে। ডিজিটালভাবে আপনারা আয়োজন করতে পারেন। গান-বাজনার অনুষ্ঠান করতে পারেন। আমরা মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে আয়োজন করেছি। এখন আমরা ক্লাসও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিচ্ছি। এটা বলতে আমার দুঃখ লাগছে, কারণ আমরা নববর্ষ সবসময় ব্যাপকভাবে উদযাপন করি।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সিং এ যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশ দেওয়ার অনেক আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নেই। এজন্য ব্যাপক আকারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েনি। আগামীতেও আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে হবে। জনগণের কথা চিন্তা করে আমরা অনেক কিছু বন্ধ করিনি। আপনাদের আর কিছুদিন সহ্য করতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা করোনা মোকাবিলা করতে পারব।
তিনি বলেছেন, আমাদের অর্থনীতি যেন স্থবির না হয়। সারা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। একটা অর্থনৈতিক মন্দা আসতে পারে। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে খাদ্য উৎপাদন যেন অব্যাহত না থাকে। আমাদের একটা ভালো দিক আছে, আমাদের জমি উর্বর। কৃষি মন্ত্রীকে বলব খাদ্য উৎপাদনে যেন সমস্যা না হয়। অর্থনৈতিক মন্দা, আমাদের খুব বেশি ক্ষতি করতে পারবে না।
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজার মনিটরিং করতে হবে, যেন কেউ, দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দাম নিতে না পারে। মানুষের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ালে এটা মেনে নেওয়া হবে না।
করোনাভাইরাস ইস্যুতে গুজব বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছে। কেউ যদি গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করেন, যদি কেউ মিথ্যা কথা বলেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণকে বলব, গুজব ছড়াবেন না, বিশ্বাস করবেন না- গুজবে কান দিয়ে আতঙ্কিত হবেন না।