চৈত্রের গরমে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিলাসহ বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে ছিল ঝড়ো বাতাসও। কয়েকদিনের গরমের পর এই বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে নগরজীবনে। তবে ঝড়ের তাণ্ডবে ঝরে পড়েছে আমের গুটি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাইরে লোকজন কম থাকলেও যারা বেরিয়েছেন তারা হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকালে কিছুটা ঠান্ডা বিরাজ করে। এরপর রোদের প্রখরতা বাড়ে। তবে বেশিরভাগ সময় সূর্যকে ঢেকে দিচ্ছিল মেঘ। বিকেল পৌনে ৪টা থেকে মেঘের গর্জনে কালো হয়ে যায় রাজধানীর আকাশ। কিছুসময় পর শুরু হয় বৃষ্টি। কিছু সময় পর বৃষ্টি থেমে গেলেও আকাশ মেঘলা রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তীত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। এছাড়া আগামী রোববার (৫ এপ্রিল) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে ঝড়ো বাতাসও বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, আরও কয়েকদিন দেশের কয়েকটি স্থানের উপর দিয়ে তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে। আর কয়েকদিন পরই গ্রীষ্মকাল। সে সময় প্রায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন বৃষ্টির প্রবণতা কম থাকবে। তবে পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালি বাতাসের সংমিশ্রণে যেকেনো সময় দমকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে মংলা ও চুয়াডাঙায় ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সীতাকুণ্ড, ফেনী, রাঙামাটি, মাইজদীকোর্ট, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।