‘দেশে পরিবর্তন আসলেও আমরা একটি ক্রান্তিলগ্ন পার করছি’
মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেছেন, দেশে একটি পরিবর্তন আসলেও আমরা একধরনের ক্রান্তিলগ্ন পার করছি। কিন্তু আমরা একটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ দেশই চাই। তবে দেশের পরিবর্তন করতে চাইলে আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক সদস্য ও সাথীদের পাঠ মূল্যায়ন পরীক্ষার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, আমি নতুন একটা টার্মসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই,সেটা হলো সোশ্যাল পলিউশন, যা বর্তমানে একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমরা যদি একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকটা ব্যাক্তিকে সৎ গুনাবলিটা অর্জন করতে হবে।নিজের ভেতরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে কিন্তু বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। এই মূল্যবোধগুলো কিন্তু বক্তৃতা দ্বারা তৈরি হয় না, তা তৈরি হয় ওহীর জ্ঞান থেকে।
তিনি বলেন, সিরিয়া থেকে আজ কোটির উপর গৃহহীন। যার জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র সহ সুপার পাওয়ারের দেশগুলো।তারা সুপার পাওয়ার হলেও মানবিকতা ও মূল্যবোধ দেখাতে ব্যর্থ হবে। তারা নিজের দেশে বৈজ্ঞানিক কাজের জন্য একটি ইঁদুর মারতে গেলেও সবচেয়ে কম কষ্ট দিয়ে তাকে মারা হয়,অথচ সেই আমেরিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মানুষকে নির্বিচারে মেরেছে। এই ধরনের দ্বৈততা কোনো মুসলিম করতে পারে না, কারণ ইসলাম তা সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ২০-৩০ বছর ধরে আমাদের মৌলবাদী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।হ্যাঁ আমরা মৌলবাদী,কারন আমরা এক আল্লাহর কথা অনুসরণ করি।যে কোরান মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করেছে,সে কোরানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই আমরা কাজ করি।কোরানের মধ্যে আল্লাহ যে মূল্যবোধ দিয়েছেন,তা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।কারন স্বপ্ন দেখে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।ইসলামী রাষ্ট্র বা ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়,শুধু রাস্তায় রাস্তায় কোরান পড়লে বা ইসলামী সঙ্গীত বাজালেই সেটা ইসলামী রাষ্ট্র হয় না।সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা,জাস্টিস নিশ্চিত করা অর্থাৎ প্রত্যেকটা অধিকার নিশ্চিত করে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার মূলত ইসলামি রাষ্ট্র।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।
এবারের ফলাফলে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার আসরার হামিদ, মেডিকেল জোনের খালিদ হাসান তামিম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের মোস্তাফিজুর রহমান।