দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া সার মজুদ আছে, আর এই সার ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও বিসিআইসি'র নিয়ন্ত্রণাধীন সকল সার কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউরিয়া সার পরিবহন, ডিলারের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ইউরিয়া সার যথাসময় উত্তোলন করে সারাদেশে কৃষকদের নিকট পোঁছানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য ১১ এপ্রিল পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে কর্পোরেশনের সার কারখানা ও গোডাউনসমূহে মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। গত বছর একই সময়ে ইউরিয়া সারের মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৫ মেট্রিক টন। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইউরিয়ার মোট চাহিদা ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং এর প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার ইতিমধ্যেই কৃষকদের নিকট সরবরাহ করা হয়েছে।
বিসিআইসি'র সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে এবছরের এপ্রিল মাসের ইউরিয়া সারের বরাদ্দ জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে প্রেরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মে ও জুন মাসের বরাদ্দও প্রেরণ করা হবে। তবে, যে সকল ডিলার এখন পর্যন্ত এবছরের মার্চ মাসের বরাদ্দ মোতাবেক নির্ধারিত পরিমাণ ইউরিয়া সার উত্তোলন করেননি তাদের দ্রুত সার উত্তোলনের জন্য নির্দেশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কৃষি উৎপাদনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ইউরিয়া সার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিসিআইসি সারাদেশে ২৯টি (২৪টি বাফার গোডাউন এবং ৫টি কারখানা) বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ ডিলারের মাধ্যমে (প্রতি ইউনিয়নে কমপক্ষে ০১ জন ডিলার) কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সরবরাহ করে থাকে।