প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে কর্মহীন মানুষকে সহায়তা দিতে ১০ টাকা কেজি দরে শুরু হওয়া চাল বিক্রির বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি স্থগিত করেছে সরকার। এই চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন হওয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
খাদ্য সচিব বলেন, ‘ওএমএস এর ১০ টাকা কেজির চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন হয় এবং এ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা (বিশেষ ওএমএস) মাত্রই শুরু হলো। দু’দিন মাত্র বিক্রি হয়েছে। এখানে সেভাবে অনিয়ম করতে পারেনি। ৫ তারিখে বিক্রি হয়েছে মহানগর ও জেলা শহরে, আর ৭ (এপ্রিল) তারিখে পৌর এলাকায় বিক্রি হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে এই বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম আবার শুরু করা হবে।’
নাজমানারা খানুম আরও বলেন, ‘একদিন বিক্রির পরই আমরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বন্ধ রেখেছিলাম। তবে আমরা এখন ত্রাণ বিতরণে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এতে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন। এর প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ চালের মূল্য কেজি প্রতি ১০ টাকা নির্ধারণ করে।
বিশেষ ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিভাগীয় ও জেলা শহর এবং জেলা শহরবহির্ভূত পৌরসভায় সপ্তাহে প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালু করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার মাত্র পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে।
বিভিন্ন স্থানে এই ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি এবং কয়েকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।