চাঁদপুরে গত দুই দিনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের বরাদ্দকৃত চালের বস্তা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুর সদর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানার বাসা থেকে ৬৭ বস্তা চাল ও রাতে কল্যাণদী ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনির বাসা থেকে ৩৫ বস্তা চাল স্থানান্তর করতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়ে। পরে চালগুলো উদ্ধার করে প্রশাসন। এছাড়া উপজেলার বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাতে ত্রাণের জন্য প্যাকেট তৈরি করার সময় প্রশাসনের অভিযান হয়। এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল তর্ক-বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে জানানো হয়, কোনো কোনো জনপ্রতিনিধি করোনাভাইরাসে বরাদ্দকৃত জনগণের ত্রাণের চাল উত্তোলন করে স্ব স্ব কার্যালয় অথবা নিজস্ব বাসায় রেখে বিতরণ করছেন। যার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে।
পরিপত্রে তিনি নির্দেশনা দিয়ে বলেন, এখন থেকে বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল উত্তোলন ও বিতরণের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে অবহিত করতে হবে। অবশ্যই স্ব স্ব কার্যালয় থেকে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে।