অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ ও বাজারজাতকরণের সুবিধার কারণে চলতি বছরও পঞ্চগড়ে প্রচুর টমেটো চাষ হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা পঞ্চগড়ে না আসায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এখন বিক্রি করতে না পারায় ক্ষেত ও ঘরে বসেই নষ্ট হচ্ছে পাকা টমেটো।
প্রতিবছর মৌসুমের এই সময়ে ক্ষেত থেকে পাকা টমেটো তুলতে ব্যস্ত সময় পার করতেন কৃষকরা। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। দাম না থাকায় এবং বাজারজাত করতে না পারায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে টমেটো তুলছেন না। এতে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো। আর যারা অল্প পরিসরে ক্ষেত থেকে টমেটো তুলছেন তারাও আবার বিক্রি করতে পারছেন না।
বর্তমানে পঞ্চগড়ে প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি ২ থেকে ৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪-৫ টাকা দরে। ফলে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
জানা গেছে, পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলায় এবার প্রায় ৫ হাজার কৃষক টমেটো চাষ করেছেন। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ নিয়েছেন। এখন ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তারা।
সদর উপজেলার হাফিজাবাদ এলাকার কৃষক আরিফ হোসেন জানান, গত মৌসুমে টমেটোর দাম ভালো ছিল। তাই চলতি মৌসুমে ঋণ নিয়ে বেশি করে টমেটোর আবাদ করেছেন তিনি। বাম্পার ফলনও হয়েছে। কিন্তু পাইকার না আসায় বিক্রি করতে পারছেন না।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হানিফ জানান, করোনার কারণে পাইকার না আসায় টমেটো বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। এতে লোকসানে পড়েছেন তারা। কৃষকরা যাতে টমেটো বিক্রি করতে পারেন সেজন্য প্রশাসন ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন তিনি।