যেখানে ‘আশ্বাস’ পূরণের গল্প নেই!

, জাতীয়

রফিকুল ইসলাম মন্টু | 2023-09-01 19:41:18

এখানে নতুন ভোর আসে এক একটি নতুন দৃশ্যপট নিয়ে। প্রতিদিন জন্ম নেয় নতুন খবর। বদলায় মানচিত্র; সেই সঙ্গে মানুষের ছুটে চলা। যেন নিয়তি এমন নিয়মই করে দিয়েছেন। কোন পরিবারের শেষ অস্তিত্বটুকু হয়তো আগের দিন বিলীন হয়ে গেছে। কারোটা হয়তো অপেক্ষা করছে পরের দিনের জন্য। মানুষজন এক বুক আশা নিয়ে রাতে ঘুমোতে যায়; ভোরে হয়তো ভাঙন থামবে! কিন্তু না, থামে না। বরং বাড়ে। বিপদাপন্ন মানুষের জীবনের হাজারো গল্প এখানে তৈরি হয় প্রতিনিয়ত; তবে কখনোই তৈরি হয় না ‘আশ্বাস’ পূরণের গল্পটা।

লক্ষ্মীপুরের কমল নগরের মেঘনার তীরের লুধুয়া এলাকায় দাঁড়িয়েছিলাম। পুরানো সেই লুধুয়া যে কবে পানির তলায় ডুবেছে; তার হিসেব নেই কারো কাছে। তীরের মাটি কেবল লুধুয়া নামটিই বহন করছে। এই নাম ছুটছে ফসলের ক্ষেত, বাগানবাড়ি, বসতি এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছু মাড়িয়ে। ফলকন, পাটারীহাট, মাতাব্বর হাট, সাহেবের হাট, বাত্তিরখাল, জগবন্ধু- এমন কত নাম যে নদীর তীর ধরে পেছনে ছুটছে; তার কোন পরিসংখ্যান নেই। জগবন্ধু গ্রাম এখনও আছে; তবে পিছিয়ে এসেছে বহু পথ। চার বছর আগে আমার চেনা জগবন্ধু গ্রামের চেহারার সঙ্গে এখনকার ছবির কোন মিল নেই। ল্যাপটপের ফাটো ফোল্ডার খুলে পুরানো ছবির সঙ্গে এখনকার ছবি মিলাই। না, কিছুই মিলছে না। সাহেববাড়ির লম্বা দরজার শেষ মাথায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব কবে হারিয়েছে! সেই সাহেবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল, বাজার, কিছুই নেই।

ভাঙনের এমন দৃশ্যের সাক্ষী কমল নগর/ ছবি: বার্তা২৪.কম, র. ই. মন্টু

দক্ষিণা হাওয়ার তোড়। নদীতে প্রবল স্রোত। দ্বি-প্রহরে ভাঙন পাড়ে দাঁড়িয়ে কয়েকজন। কিছু বলতে এগিয়ে এলেন তোফায়েল আহমেদ। বয়স সত্তর ছুঁয়েছে। কেমন আছেন? জানতে চাইলে কষ্ট জড়ানো, হৃদয় ভাঙা উত্তর আসে- ‘একটা পশু জবাই করে ছেড়ে দিলে যে অবস্থায় থাকে, আমরা এখন ঠিক সেভাবেই আছি। এর চেয়ে এতটুকু কম নয়। স্যার আপনি বিশ্বাস করেন, এতটুকু বাড়িয়ে বলছি না।’ কথাগুলো বলতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন। বললেন, ‘৮-৯ বছর ধরে এই ভাঙনের কান্না। সব হারাইছি। বাপের কাইল্যা ভিটা, জমিজমা, বাপ-দাদা-মায়ের কবরস্থান কিছুই নাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের খবরটা পৌঁছাবেন। আমাদের ভাঙন রোধ না হলে যেটুকু আছে, তাও হারাবো; আর্জি তোফায়েলের।’

পাশে দাঁড়ানো আরেক প্রবীণ বাসিন্দা মো. সাদেক। ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ডান হাতে তর্জনী তুলে নদীর মাঝখানে তার সেই স্কুলটির সীমানা টেনে বোঝানোর চেষ্টা করেন- ওইখানে ছিল বিদ্যালয়টি। তোফায়েল আহমেদের আর্জির সঙ্গে তারও একই সুর- স্থায়ী বাঁধ না হলে কোনভাবে এই জনপদ রক্ষা করা যাবে না। আমরা অনেক আশ্বাস শুনেছি। কিন্তু কোন আশ্বাস পূরণ হয়নি। বর্ষায় যখন ভাঙন বাড়ে; তখন জরুরি সহায়তার সঙ্গে আশ্বাসও আসে- ‘এই তো! শুকনো মৌসুমেই কাজ শুরু হয়ে যাবে!’ কিন্তু কোন কাজই আর হয়না। আবার ভাঙন শুরু হলে জরুরি ভাঙন রোধের কাজ। এভাবেই চলে আসছে কয়েক বছর। অথচ এই এলাকার কোন স্থান থেকে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার, কোন এলাকা থেকে ৬ কিলোমিটার অথবা কোন এলাকা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে নদী ছিল।

ভাঙনের ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা/ ছবি: বার্তা২৪.কম, র. ই. মন্টু

আবারও এসেছে আশ্বাসের মৌসুম; বর্ষাকাল। নদীতে বাড়ছে স্রোতের তোড়; সেই সঙ্গে ভাঙ্গন। মানুষের মাঝে বাড়িঘর স্থানান্তরের ব্যস্ততাও বেড়েছে। ফলকনের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলছিলেন, মানুষগুলো এখন খুব কষ্ট করে দিন যাপন করছে। থাকার জায়গা নেই। কোনমতে দুই চালা দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। কমল নগরের এই এলাকায় নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। আগে প্রচুর পরিমাণে ফসলি জমি ছিল। মানুষ ততটা উদ্বিগ্ন হয়নি। কিন্তু দিনে দিনে ভাঙনের মাত্রা বাড়ার কারণে এলাকার মানুষজন নি:স্ব হয়ে গেছে। বাড়ি বদল করা তাদের জন্য খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, মসজিদ, মক্তব, স্কুল, মাদরাসা, বাজারসহ অনেক স্থাপনা। আমিন উদ্দিন হাওলাদার বাড়ি, মীর বাড়ি, পাটারী বাড়ি, জেবল হক ডাক্তার বাড়িসহ অনেক বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। পালোয়ান বাড়ি, ছাদেক মাষ্টার বাড়ি, মীর বাড়ির শেষাংশ, ফকির বাড়ি, বকশী বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি এখন হুমকির মুখে। ফলকন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সন্নিকটে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় চলমান বাজেটে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার জোরালো দাবি জানাই।

ফলকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলা ভবনটি নদীতে হারানোর দৃশ্য আমার ক্যামেরায়। এলাকার হাজারো মানুষ অবাক বিস্ময়ে দেখলেন সে দৃশ্য। এই তো মাস ছয়েক আগের কথা! বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল বাহার চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না। বললেন, এই স্কুলে পড়েছি। আবার এই স্কুলেই পড়াচ্ছি। কত যে স্মৃতি এখানে জড়িয়ে তা বলে শেষ করা যাবে না। স্কুল ভবন চলে যাওয়ায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। অনেক ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধই হয়ে গেছে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন হাজী বলছিলেন, ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে। ৭ নম্বর ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিলীন হওয়ার পথে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও শুরু হয়েছে ভাঙন। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া আমরা এলাকা আর রক্ষা করতে পারবো না।

সেদিনও অবশিষ্ট ছিল মীর বাড়ির শেষ চিহ্নটুকু। এলাকার ঐতিহ্যবাহী এক পরিবার। অথচ এখন নি:স্ব সকলেই। মীর বাড়ির যুবক কামরুল হাসান মীরের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল। বললেন, আমাদের কিছুই অবশিষ্ট নেই এখন আর। মাত্র বছর দুয়েক আগেও বাবা কৃষি কাজ করতেন। শেষবার আবাদ করতে গিয়ে ৩০ হাজার টাকা লোকসান গুনেছেন। জমি যে টুকু ছিল; ফসল তেমন হতো না। পানি উঠলে আর নামতো না। ফলে আবাদ ছেড়ে দিয়েছি। আয় রোজগারের জন্য বাবাকে একখানা দোকান করে দিয়েছিলাম। সে দোকানটা যে কতবার বদলাতে হলো; হিসেব নেই। মীর বাড়ির ঘরের সামনে পাকা বেঞ্চি, পুকুর, সুপারি বাগান, বাড়ির লম্বা দরজা- কিছুই নেই এখন আর। বাড়ির শূন্য ভিটায় দাঁড়িয়ে আলাপ হলো আরেকজন সব হারানো মানুষের সঙ্গে। ওয়াজিউল্লাহ’র তার নাম। এক সময় তার বাড়ি ছিল কৃষ্ণপুর গ্রামে; এখান থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে। অন্তত ৪০ বছর আগে প্রায় কিশোর বয়সে বাপদাদার সঙ্গে ছিলেন ভোলার মদনপুর। পরে এসেছেন এই এলাকায়। এখন প্রায় সবই হারিয়েছেন। তার সেই সোনালী দিন আর নেই। নিজের ভরা যৌবন যেমন ফুরিয়েছে; তারই সঙ্গে তাল রেখেই যেন হারিয়েছেন সব সম্পদ। এই গল্পটা শুনতে শুনতে আমার মনে পড়ে যায় ভোলার কাচিয়ার ওয়াজিউল্লাহ’র কথা। তিনিও প্রায় নব্বই ছুঁয়েছেন। তাকে নিয়েও খবর করেছি। সব ওয়াজিউল্লাহরাই কী নদীর ভাঙনে সব হারিয়ে কষ্ট বুকে চেপে জীবনের শেষ দিনগুলোর পার করছেন?- প্রশ্ন জাগে।

রান্নার চুলো চির অবসরে/ ছবি: বার্তা২৪।কম, র. ই. মন্টু

কমল নগরের মেঘনার তীরে হাঁটলে পাওয়া যায় এমন হাজারো গল্প। যে গল্পের কোন শেষ নেই। বহুবার বাড়ি হারানোর পরেও মানুষগুলো নদীর মাঝে খুঁজে ফিরেন পুরানো মাটি। বাত্তিরখালের আবদুল কুদ্দুস বলছিলেন তার ৩১ বার বাড়ি বদলের গল্প। অনেক বড় বাড়ি, বিপুল কৃষি জমি থাকলেও এখন তার জীবিকা বাত্তিরখাল ঘাটে ছোট দোকানে। এমন সব হারানো মানুষের সংখ্যা গুনে শেষ হবে না। এলাকাবাসী বলছিলেন, মেঘনা যেন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ২০০৬ সালের পরে। কমল নগর উপজেলা গঠনের আগেই এ জনপদের ১৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা মেঘনায় বিলীন হয়। ১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আর ১০ কিলোমিটার প্রস্থের এলাকা এরই মধ্যে বিলীন। ১৩ বছরে মেঘনা নদী পূর্বে সরে এসেছে প্রায় ১৪ কিলোমিটার। এই সময়ে উপজেলার ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বসতি হারিয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। ভাঙন কবলিত এলাকার অধিকাংশ মানুষ স্থানান্তর করেছেন ৭-১০বার। কমল নগর উপজেলার ৪৬ দশমিক ৮২ ভাগ এলাকা সরাসরি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯টি ইউনিয়নের মোট আয়তন ছিল ৩১৪ দশমিক ৮৬০ বর্গ কিলোমিটার। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা পায়নি কোন পুনর্বাসন সহায়তা। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কিছু মানুষকে সামান্য সহায়তা করা হলেও তা একেবারেই নগণ্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেদের চেষ্টায় ধারদেনা করে বাড়ি স্থানান্তর করেছেন। অনেকে নিরুপায় হয়ে এলাকা ছেড়ে শহরের পথে পা রেখেছেন।

কমল নগরের বিপন্ন এলাকায় সরকারের নজর ফেরাতে চেষ্টা হয়েছে অনেক। দাবি-দাওয়া কম ওঠেনি। নদীর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে নদীর তীরে ব্যতিক্রমী মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল রামগতি-কমল নগর বাঁচাও মঞ্চ নামের নাগরিক সংগঠন। এতে অংশ নেয় এলাকার হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। এ ছাড়াও সভা সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনার লক্ষ্যে নদীর তীরে অনেকবার আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ মোনাজাত। একবার এলাকার মানুষ নিজেরাই চাঁদা তুলে ভাঙন রোধের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ভাঙন রোধ হয়নি কিছুতেই।

ভাঙন তীরে এভাবেই পড়ে থাকে শূন্য ভিটে/ ছবি: বার্তা২৪.কম র. ই. মন্টু

রামগতি-কমল নগর বাঁচাও মঞ্চের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান, জনসাধারণের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সরকারের শীর্ষ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমরা মনে করি, একটি উপজেলা জনপদের অস্তিত্বের কথা বিবেচনায় রেখে সরকার এদিকে দৃষ্টি দিবে। ভাঙন রোধ করতে না পারলে কমল নগর উপজেলার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। ব্লক ফেলে শক্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের মধ্যদিয়েই রামগতি-কমল নগরকে বাঁচানো সম্ভব। আশাকরি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল সেদিকে নজর দিবেন। এখন আর সময় নেই। এই অঞ্চলের মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে।

মাত্র ছ’য়েক আগে কমল নগরের ভাঙ্গন তীরে কথা হয়েছিল লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের সঙ্গে। ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি ভাঙন প্রতিরোধ কার্যক্রম দেখতে এলে তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, এই এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কবে হবে স্থায়ী বাঁধ? এলাকার শত শত মানুষের সামনে তিনি তখন জানিয়েছিলেন, ভাঙন রোধে জরুরি কাজ চলমান। বিগত সাত মাস ধরে আমরা রামগতি-কমল নগরের ৩২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প (ডিপিপি) তৈরি করেছি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭০০ কোটি টাকা। ডিসেম্বরের (২০১৯) মধ্যেই প্রকল্প অনুমোদন হবে বলে আশা রাখছি।

উনিশের ডিসেম্বর চলে গেছে অনেক আগেই। চলে গেছে শুকনো মৌসুমও। এখন পর্যন্ত কোন সুখবর নেই। পাওয়া যায়নি প্রকল্প অনুমোদনের খবর। বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে আবার শুরু হয়েছে জরুরি কাজের তোড়জোড়। আবার হয়তো আসবে আশ্বাস! এমন আশ্বাস বহুবার শুনেছেন কমল নগরের মানুষ। এই হবে, এই হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু হয় না। আশ্বাসে আশ্বাসে কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। মেঘনার জলস্রোতে আছে প্রবল তোড়, আছে দক্ষিণা বাতাস, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, পাখির ডাক, ভোরের আজানের ধ্বনি- সবই আছে। এখানে শুধু ‘আশ্বাস’ পূরণের গল্পটাই নেই।

রফিকুল ইসলাম মন্টু, উপকূল-অনুসন্ধানী সাংবাদিক

এ সম্পর্কিত আরও খবর