করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১০দিন কারফিউ জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (১৮ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গত কয়েকদিন যাবত সড়ক-মহাসড়ক ও ফেরিঘাটসমূহে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশব্যাপী ভয়াবহভাবে বিস্তার ঘটাবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, প্রিয়জনের সাথে গ্রামের বাড়িতে ঈদের ছুটি কাটাতে প্রতিবছর ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান শহর থেকে সাড়ে ৩ কোটির বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন ধরে এটি চলমান থাকায় বর্তমানে তা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়ানোর কারণে এবারের লকডাউনেও ঈদের ছুটি কাটাতে শহরের লোকজন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিবে। লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার পরেও একাধিক দফায় শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষেরা নানা উপায়ে রাজধানীতে এসেছে এবং গ্রামের বাড়ি যাওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। একইভাবে গত কয়েকদিন যাবত সড়ক-মহাসড়ক ও ফেরিঘাটসমূহে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষ যাতায়াতের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তাই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, 'যে যেখানে অবস্থান করে সেখানেই ঈদ উদযাপন' করার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বিস্তার রোধে ঈদের আগে ও পরে ১০দিন কারফিউ জারি করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।