ঢাকা: পাশের বাড়ির গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়া চলছিল স্বপনের (৪৫)। এ নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। সর্বশেষ শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা নতুন করে ডালপালা মেলে। শুরু হয় ঝগড়া, এক পর্যায়ে স্বপনের স্ত্রী জোসনা (৩২), স্বপনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে ও গলায় আঘাত করে। পরে রাগে ক্ষোভে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে জোসনা।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াজেদ আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরকিয়ার বিষয়টি সত্য। আমরা একাধিক সুত্র থেকে এর সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। তবুও তদন্ত চলছে, অন্য কোন কারণ সামনে আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।
নিহত জোছনার চাচাতো ভাই আব্দুল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা আগে থেকে জানতাম স্বপনের অন্য কোথাও সম্পর্ক আছে। আজ মারামারির খবর পেয়ে, দরজা ভেঙে দেখি জোছনা ফ্যানে ঝুলে আছে। পাশের রুমে খাটের উপর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপনকে উদ্ধার করি। দুপুর ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জোসনাকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াজেদ আলী প্রতিবেশী ও দুই সন্তানের বরাত দিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্বামীর পরকিয়ার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে স্ত্রী তার দুই সন্তানকে ঘুমের ওষধ খাইয়ে অচেতন করে। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকালে গৃহবধূ ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীর ঘাড়ে ও গলায় আঘাত করে, পরে নিজে পাশের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
ঢামেকের পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক, বাচ্চু মিয়া বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ এখনও ঢামেকের মর্গে রাখা আছে। নিহতের সন্তানদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় পাঠানো হয়েছে। তবে স্বপন এখনও চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা যায়, স্বপনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায়। তিনি যাত্রাবাড়ির গোলাপবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বপন একটি পোশাকের দোকানে কাজ করেন।