ঢাকা: প্রতিবছরের মতো এবারও রেলের শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। ঈদ যাত্রার প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে এই শিডিউল বিপর্যয়। যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সকাল থেকে কোনো ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টায় তারাকান্দি থেকে আসা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন তেজগাঁও স্টেশনে এসে বিকল হয়ে যায়। এরপর প্রায় দেড় ঘন্টা কমলাপুর রেল স্টেশনে কোন ট্রেন ঢুকতে পারে নি। এদিকে কোন ট্রেন কমলাপুরে না আসায় ঢাকা ছাড়তেও পারেনি কোনো ট্রেন।
পরে আটকে পড়া ট্রেনগুলো সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা ছাড়ে। এই কারণে দিনের অন্যান্য ট্রেনের শিডিউলেও ব্যাঘাত ঘটে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফরমে ঘন্টার পর ঘন্টা গরমের মধ্যে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হোন নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা।
একই চিত্র দেখা যায়, রাজধানী বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনেও। হাজারো মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই এখানেও।
প্লাটফরমের মেঝেতেই বসে থাকতে হয় অনেক যাত্রীকে। সকাল ১০টায় যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন,ভোর থেকে স্টেশনে বসে আছি। কখন যে ট্রেন ছাড়বে কে জানে। গরমে বাচ্চাদের কষ্ট হচ্ছে বেশি। প্রতিবছরই ঈদে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়। কিন্তু তারপরও এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আমরা সাধারণ যাত্রীরা কবে যে ট্রেনের এই শিডিউল বিপর্যয় থেকে রেহাই পাবো কে জানে।
এদিকে স্টেশন পরিদর্শনে এসে রেলওয়ের ডিজি আমজাদ হোসেন জানান, রেলের কর্মকর্তাদের সবধরণের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রেলের পশ্চিমাঞ্চলের জিএম কর্মকর্তাদের নিয়ে স্থানীয় এক সংসদ সদস্যের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন তাকেও ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে টিকেটে না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই। কেউবা আবার ট্রেনের বাফারে করে বাড়ি ফেরার জন্য।
রেল কর্তৃপক্ষ বলেন, যতো সময় যাবে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বাড়বে। ১৯ আগস্ট ও ২০ আগস্ট বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।