সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৫ জুন) বেলা ২টা ২০ মিনিটে নগরের মানিকপীর কবরস্থানে মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে। এর আগে মানিকপীর কবরস্থান প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় দফা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সিলেট সর্বস্তরের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে কামরানের মরদেহে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সোমবার (১৫ জুন) বেলা পৌনে ২ টায় নগরের ছড়ারপার জামে মসজিদে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সংখ্যক লোক জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এই মসজিদের মোতাওয়াল্লী ছিলেন।
সোমবার বেলা ১২টা ২৪ মিনিটে কামরানের মরদেহ ঢাকা থেকে সিলেট নগরের ছড়ারপারের বাসভবনে এসে পৌঁছে। মরদেহ পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকেই বাসার সামনে অপেক্ষমাণ নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন একনজর দেখার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে ধরেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১৪ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাবেক এ মেয়রের করোনা পজিটিভ আসে। এদিন থেকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরদিন ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছিল না। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত ৭ জুন সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাকে।