করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মেস ভাড়া পূর্বঘোষিত ৬০ ভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন যশোরের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৮ জুন) দুপুর ১২টায় যশোর প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ যশোর সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী নীরব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে তাদের দাবি তুলে ধরেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘মেসভাড়া মওকুফে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ চাই’, ‘মেস ভাড়া ৬০ ভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কর।’
সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ যশোর সংগঠনের সমন্বয়ক ইমরান খান বলেন, ‘যশোরসহ সারাদেশে নভেল করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। ফলে একদিকে জনজীবন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে অন্যদিকে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনও এক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত
আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেস ভাড়া করে থাকতে হয়। যশোরে যারা মেসে থাকে তারা অধিকাংশই মধ্যবিত্ত বা কৃষকের সন্তান। যশোরে যারা মেসে থাকে তারা অধিকাংশই তাই এদের মেস খরচ বাড়ি থেকে দিতে না পারায় বাসায় বাসায় টিউশনি করে মেটাতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং লকডাউন ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা মেস ছেড়ে বাড়িতে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাদের আয়ের উৎস টিউশনিও বন্ধ হয়ে যায়। গত ৪ মে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের সভায় মেস মালিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মেস ভাড়া ৬০ শতাংশ মওকুফের ঘোষণা দেয়া হয়। আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিই। কিন্তু গত ৩০ মে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম ৬০ ভাগের পরিবর্তে ২৫ ভাগ মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু ওই সভায় কোন ছাত্র প্রতিনিধি ছিল না। ২৫ ভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত খুবই অযৌক্তিক, অমানবিক বলে আমরা মনে করি। অবিলম্বে মেস ভাড়া ৬০ ভাগ মওকুফের সিদ্ধান্ত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ যশোরের সমন্বয়ক ইমরান খান, সদস্য উজ্জল বিশ্বাস, পলাশ বিশ্বাস, মানবতাবাদী মেস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম রাসেদ আনোয়ার, সদস্য শাওন রেজা, রাসেল হোসেন, বি এম সুজন প্রমুখ।