বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ড ২৬ ঘণ্টার পর উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) পৌনে ১২টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। তবে লঞ্চটি এখনো উল্টে আছে। অভিযান শেষ করতে আরো ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে।
বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ 'মর্নিং বার্ড' উদ্ধারে টানা কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। এক যোগে কাজ করছেন, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা।
লঞ্চটিকে মাঝ নদী থেকে টেনে কেরানীগঞ্জের দিকে তীরের কাছাকাছি নেয়া হয়েছে। লঞ্চটি তুলতে ১০টি এয়ার লিফটিং ব্যাগ লাগানো হয়েছে। এক-একটি ব্যাগ, ৭-৮ টন ওজন তুলতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এই প্রক্রিয়ায় লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুম থেকে বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’ অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ। এতে আসামি করা হয়েছে ‘ময়ূর-২’ লঞ্চের মালিকসহ ৭ জনকে। মঙ্গলবার ভোর রাতে নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম বাদি হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সোমবার (২৯ জুন) সকাল নয়টার দিকে ময়ুর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এই দুর্ঘটনায় ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি, শিশুসহ ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার
সাদা প্যাকেটে মোড়ানো স্বজনের মরদেহ, শোকে স্তব্ধ সদরঘাট
স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে মরদেহ
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ঘাতক লঞ্চের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা