স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে মরদেহ
বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে সার্ভিস ও কোস্টগার্ড।
উদ্ধার ৩২ জনের মধ্যে ৩০ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবস্থিত মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই এই মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। ।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়া মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেন।
এখন পর্যন্ত যে ৩০ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছেন তারা হলেন- ১.মিজানুর রহমান (৩২), ২. সত্যরঞ্জন বনিক (৬৫), ২. ৩. শহিদুল (৬১), ৪. সুফিয়া বেগম (৫০), ৫. মনিরুজ্জামান (৪২), ৬. সুবর্ণা আক্তার (২৮), ৭. মুক্তা (১২), ৮. গোলাম হোসেন ভুইয়া (৫০), ৯. আফজাল শেখ (৪৮), ১০. বিউটি (৩৮), ১১. ছানা (৩৫), ১২. আমির হোসেন (৫৫), ১৩. মো. মহিম (১৭), ১৪. শাহাদাৎ (৪৪), ১৫. শামীম ব্যাপারী (৪৭), ১৬. মিল্লাত (৩৫), ১৭. আবু তাহের (৫৮), ১৮. দিদার হোসেন (৪৫), ১৯. হাফেজ খাতুন (৩৮), ২০. সুমন তালুকদার (৩৫), ২১. আয়শা বেগম (৩৫), ২২. হাসিনা রহমান (৪০), ২৩. আলম বেপারী (৩৮), ২৪. মোসা. মারুফা (২৮), ২৫. শহিদুল হোসেন (৪০), ২৬. তালহা (২), ২৭. ইসমাইল শরীফ (৩৫), ২৮. সাইফুল ইলাম (৪২), ২৯. তামিম ও ৩০. সুমনা আক্তার।
এদিকে এখনো ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরাও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
জানা যায়, সোমবার (২৯ জুন) সকাল নয়টার দিকে ময়ুর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।