ডুব দিলেই মিলছে মরদেহ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডুব দিলেই মিলছে মরদেহ

ডুব দিলেই মিলছে মরদেহ

রাজধানীর শ্যামবাজার ফরাসগঞ্জে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী শিশুসহ ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, ডুব দিলেই মিলছে মরদেহ।

কর্তৃপক্ষের দাবি, লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লঞ্চে দেড়শরও বেশি যাত্রী ছিল। 

বিজ্ঞাপন

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন, এখন আর আনুমানিক বলা যাচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ডুব দিলেই তাদের হাতে পায়ের সঙ্গে মরদেহ বাঁধছে।

বিজ্ঞাপন
উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, ডুব দিলেই মিলছে মরদেহ

কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া উইং এর কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দিক বার্তা২৪.কমকে জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জন নারী, ২৩ জন পুরুষ এবং ২ জন শিশু রয়েছে।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সন্দেহ থাকবে এখনও মরদেহ থাকতে পারে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোস্ট গার্ডের উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে।

 তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ডুব দিলেই তাদের হাতে পায়ের সঙ্গে মরদেহ বাঁধছে

এদিকে লঞ্চডুবির পর সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এছাড়াও স্থানীয় মানুষজন সহায়তা করছেন।

জানা যায়, সোমবার (২৯ জুন) সকাল নয়টার দিকে ময়ুর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

তবে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি, শিশুসহ ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার