‘শরীরে ইমিউনিটি শক্ত থাকলে ভাইরাস ঢুকলেও মারা যাবে’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 05:31:23

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, করোনাভাইরাস জনিত কারণে বসে থাকলে তো চলবে না, মানুষকে বাঁচাতে হবে। পৃথিবী হচ্ছে যুদ্ধ ক্ষেত্র, অলস লোকদের জন্য পৃথিবী না। এখন করোনাভাইরাস আসছে, আমি বসে থাকব? আরে ভাই আমারে প্রোটেকশন নিয়ে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি যেমনি মানতে হবে, তেমনি কাজও করতে হবে। আপনার ইমিউনিটি যদি শক্ত হয়, তাহলে নাকের কাছে যদি ভাইরাস থাকেও সেই ভাইরাস সীমিত পরিসরে ঢুকেও যায় সেটা মারা যাবে।

বৃহস্পতবার (০২ জুলাই) দুপুরে বঙ্গবাজার এলাকায় ডিএসসিসির আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। এসময় পশে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যে দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যত বেশি শক্তিশালী ও কার্যকরী। সে দেশের উন্নয়ন করা তত সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যদি সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং তারা যদি কার্যকরী হয় তাহলে সত্যিকার অর্থে একটা দেশ তার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। এই করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে শুধু ওষুধ কিনি (ক্রয় করি) আর হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কিনে তাহলে তো আল্টিমেটলি স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারবেন না। স্বাস্থ্যর জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির খাদ্য দ্রব্যের দরকার। সেই খাদ্য সঠিক খাদ্য হতে হবে। সুষম খাবার হতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অধিকাংশ মানুষ প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ায় তাদের ইমিউনিটি ফল করেছিলো (কমে গিয়েছিলো)। ফলে যুদ্ধের চাইতেও যুদ্ধপরবর্তী সময়ে ছোট-খাটো ভাইরাসের আক্রমণে অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাস তো একেবারে সম্প্রতি চলে যাচ্ছে না। আমাদের টিকে থাকতে হবে। মানুষকে বাঁচাতে হবে। উদাহরণ টেনে বলেন, সমুদ্র তলদেশে খনিজ সম্পদ আহরণ করতে গেলে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা আছে আবার আমি এখনে আসছি কোনো রকম ক্ষতি হবে না এর কোনা গ্যারান্টি আছে? আমাদের তো চলতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ডিএসসিসি'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, ডিএসসিসি'র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ অন্যান্যদের মধ্যে এ সময় বক্তব্য রাখেন। ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর